প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের পাশাপাশি এ বার কেন্দ্রের কাছেও দেশের সব নাগরিকের জন্ম-মৃত্যু যাতে নথিভুক্ত হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বিরোধীদের মতে, এনআরসি-সিএএ চালু করার চেষ্টায় বাধা পেয়ে এ বার ঘুরপথে তা প্রয়োগের কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র।
বর্তমান আইনে রাজ্যের নিযোগ করা স্থানীয় রেজিস্ট্রারই জন্ম-মৃত্যুর নথিভুক্তকরণ করে থাকেন। রাজ্যের সেই তথ্যভাণ্ডাররের দায়িত্বে থাকেন মুখ্য রেজিস্ট্রার। বর্তমানে এ সংক্রান্ত যে রেজিস্ট্রেশন অব বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট (আরএডি ১৯৬৯), রয়েছে তাতে একটি সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী রাজ্যের মতো জাতীয় স্তরেও জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ওই সংশোধনীটি পেশ করা হবে। সংশোধনীতে যে ৩-এ ধারা যোগ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে— জাতীয় স্তরে থাকা ওই তথ্যভাণ্ডার জনসংখ্যা পঞ্জি, ভোটার তালিকা, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স আপডেট করার কাজে ব্যবহার হবে।
বিরোধীদের মতে, ওই সংশোধনী পাশ হলে ওই তথ্যের মাধ্যমে এনপিআর তালিকা আপডেট করে ফেলতে সক্ষম হবে কেন্দ্র। একই ভাবে ওই তালিকার তথ্য ব্যবহার হতে পারে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ক্ষেত্রেও। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, জন্ম-মৃত্যুর তালিকা কেন্দ্রের নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা একটি অনাবশ্যক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে এক দিকে কেন্দ্র নজরদারি চালাতে পারবে। অন্য দিকে সব শিবিরের কাছে বর্জনীয় এনপিআর-এনআরসি-সিএএ প্রকল্পের সঙ্গে ওই তথ্যভাণ্ডারের সংযুক্তিকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যা আদৌ কাম্য নয়। তাঁর মতে, জন্ম-মৃত্যুর নথিভুক্তকরণ অবশ্যই রাজ্যের হাতে থাকা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy