একগুচ্ছ ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে ভারতের তৈরি বিভিন্ন ওষুধ, তেমনই রয়েছে পাকিস্তানি সংস্থার প্রস্তুত করা দু’টি রূপসজ্জায় ব্যবহৃত ক্রিম (বিউটি ক্রিম)! এ ছাড়াও, চিনা সংস্থার একটি তরল লিপস্টিকও আপাতত নিষিদ্ধের তালিকায়।
সিডিএসসিও যে তালিকা দিয়েছে তাতে নাম রয়েছে জ্বর, সর্দিকাশির ওষুধ, তেমনই পেট খারাপের ওষুধেরও। প্যারাসিটামল বা নরফ্লক্সাসিন ও মেট্রোনিডাজ়োলের মতো ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, জ্বরের প্যারাসিটামল বা পেটখারাপের চেনা ওষুধ নরফ্লক্সাসিনের বিক্রি বুঝি বন্ধ হয়ে যাবে। আসলে মূল ওষুধের বিক্রি বন্ধ হয়নি, যে ওষুধগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলি নির্দিষ্ট কোনও ব্যাচের ওষুধ। এই ওষুধগুলি কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার বেঁধে দেওয়া মাত্রা বা পরীক্ষায় ‘যোগ্যতা’ অর্জন করতে পারেনি। জ্বর, সর্দিকাশি, অ্যালার্জি, ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ-সহ একাধিক পরিচিত ওষুধের নাম রয়েছে সেই তালিকায়।
উল্লেখ্যযোগ্য, নিষিদ্ধ হওয়া ওষুধ ও পণ্যের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তানের দু’টি প্রসাধন সামগ্রী। দু’টি রূপসজ্জায় ব্যবহার করা হয়। একটি ‘গোরি ডে অ্যান্ড নাইট বিউটি ক্রিম’ এবং অন্যটি হল ‘স্যান্ডল বিউটি ক্রিম’! দু’টি সামগ্রীই পাকিস্তানে তৈরি। ভারতের বাজারে চাহিদাও ছিল। তবে ওই দুই ক্রিমের নির্দিষ্ট ব্যাচ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এ ছাড়াও, চিনা প্রস্তুতকারক সংস্থার একটি লিপস্টিকও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। হুঙ্কার, পাল্টা হুঙ্কার চলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে ভারত। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল থেকে শুরু করে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত, অটারী সীমান্ত বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানও পদক্ষেপ করেছে। ভারতের পাঁচের বদলে তারা আটটি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। সঙ্গে দীর্ঘ বিবৃতিতে ভারতের একাধিক নীতির কড়া সমালোচনা করেছে ইসলামাবাদ। সেই আবহে পাকিস্তানে প্রস্তুত দু’টি রূপসজ্জায় ব্যবহৃত ক্রিম নিষিদ্ধ করার কথা প্রকাশ্যে এল। যদিও ক্রিম নিষিদ্ধের সঙ্গে জঙ্গি হামলার পদক্ষেপের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই মত অনেকের।