সিবিআই আদালতে পি চিদম্বরম। ছবি: পিটিআই।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি বিদেশে কোথায় ভুয়ো সংস্থা খুলেছেন, তা খুঁজতে পাঁচটি দেশের কাছে তথ্য চাইল সিবিআই। ব্রিটেন, সুইৎজারল্যান্ড, বারমুডা, মরিশাস ও সিঙ্গাপুরে সাহায্য চেয়ে ‘লেটার্স রোগেটরি’ পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। পিতা-পুত্রের ওই সব দেশে কোনও ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে, তারও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিদম্বরমকে আগামী সোমবার পর্যন্ত হেফাজতে রেখে সিবিআই জানতে চাইছে, আইএনএক্স মিডিয়া গোষ্ঠীর মতো আরও কোনও সংস্থাকে বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চিদম্বরম ও কার্তি ঘুষ নিয়েছিলেন কি না। সিবিআইয়ের সন্দেহ, অন্তত চারটি ক্ষেত্রে তাঁরা ঘুষ নিয়েছেন। বিদেশের ভুয়ো সংস্থায় ঘুষের টাকা জমা পড়েছিল। আজ এই সব বিষয়ে সিবিআই সদর দফতরের এগারো তলায় আর্থিক অপরাধ দমন শাখায় চিদম্বরমকে জেরা করেছেন অফিসারেরা। তার মধ্যেই আধ ঘণ্টা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন চিদম্বরম। বাড়ির খাবারও খান।
প্রাক্তন আইএনএক্স কর্ত্রী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁদের ব্যবসায়িক বেনিয়ম মিটিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চিদম্বরম কার্তিকে ঘুষ দিতে বলেছিলেন। সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবারের মধ্যে সময় পেলে চিদম্বরমকে মুম্বই নিয়ে গিয়ে ইন্দ্রাণীর মুখোমুখি বসানো হবে। কার্তি ও ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে চিদম্বরমের সঙ্গে ঘুষের টাকার সরাসরি যোগসূত্র তুলে ধরাই সিবিআইয়ের প্রধান লক্ষ্য।
দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি খারিজের পরে সুপ্রিম কোর্টে যান চিদম্বরম। আজ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সোমবার ফের শুনানি হবে। তত দিন ইডি চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তাতে চিদম্বরমের সুবিধা হচ্ছে না। কারণ ওই দিন পর্যন্ত তিনি সিবিআই হেফাজতেই থাকছেন।
আজ সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, চিদম্বরম তাঁর ‘মানসিক দক্ষতা, আইনি ও রাজনৈতিক জ্ঞান’ কাজে লাগিয়ে তদন্তকারীদের প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা না-হলে সত্য জানা যাবে না। মেহতার বক্তব্য, তাঁদের কাছে ডিজিটাল প্রমাণ রয়েছে, যা থেকে বেআইনি লেনেদেনের রাস্তা খুঁজে বার করা যায়।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীল গউরের রায় প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘হলফনামা ছাড়া ইডি-র দেওয়া নোট রায়ে ‘কাট-পেস্ট’ করা হলে আর জামিন কী করে মিলবে?’’ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কথায়, ‘‘ওই বিচারপতি সংসদকে সুপারিশ করেছেন, বড় মাপের আর্থিক অপরাধীদের জন্য আগাম জামিন তুলে দেওয়া হোক। অর্থাৎ, আর্থিক সঙ্গতির সঙ্গে সাংবিধানিক অধিকারও বদলাবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy