সাইবার প্রতারণার তদন্তে সিবিআই। — প্রতীকী চিত্র।
১১৭ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার অভিযোগে বুধবার দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলের ১০টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। গত বছরের ডিসেম্বরে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার থেকে একটি অভিযোগ জানানো হয় সিবিআইয়ের কাছে। তাদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু সাইবার প্রতারক ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে ‘ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল’ (এনসিআরপি) থেকে প্রায় চার হাজার অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিবিআই। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে জমা হওয়া ৩৯০৩টি অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে আসে। তাতে দেখা যায়, সব মিলিয়ে ১১৭ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, টেলিগ্রাম এবং হোয়াটস্অ্যাপ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন এই চক্রের পান্ডারা।
সিবিআইয়ের সন্দেহ, দুবাই-সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অন্য কিছু জায়গা থেকে এই চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে হচ্ছিল। কখনও আংশিক সময়ের কাজের টোপ দেওয়া হত। কখনও বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগ করানো হত। এই প্রতারণা চক্রের জন্য ব্যবহার করা হত তৃতীয় কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (মিউল অ্যাকাউন্ট)। তদন্ত শুরুর পর ৩২৯৫টি ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন নজরে আসে গোয়েন্দাদের।
এই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে, তা খুঁজে বার করতে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে নজরদারি চালায় সিবিআই। সেই সূত্র ধরে ১০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই সন্দেহভাজনদের সঙ্গে সম্পর্কিত ১০টি জায়গায় শনিবার হানা দেয় সিবিআই। এর মধ্যে আটটি দিল্লিতে এবং দু’টি গুরুগ্রামে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বুধবারের অভিযানে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করেছেন আধিকারিকেরা। এ ছাড়া বেশ কিছু বৈদ্যুতিন যন্ত্র এবং আর্থিক লেনদেনের হিসেবও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy