জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে নোটিস পাঠাল সিবিআই। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য রিলায়েন্স বিমা মামলা নিয়ে তাঁকে আগামী ২৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি। কিছু দিন আগেই ২০১৯-এর পুলওয়ামা হামলা নিয়ে তাঁর মন্তব্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সত্যপাল জানিয়েছেন, সিবিআই তাঁকে এজেন্সির আকবর রোডের অতিথিশালায় আসতে বলেছে। তদন্তকারী সংস্থা কিছু বিষয়ে তাঁর খোলসা বক্তব্য চায়। তিনি বলেন, ‘‘ওরা কিছু বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চায়। তাই আমাকে উপস্থিত থাকতে বলেছে। আমি রাজস্থান যাচ্ছি। তাই আমি তাঁদের বলেছি, ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে কোনও একদিন যাব।’’
मैंने सच बोलकर कुछ लोगों के पाप उजागर किए हैं।
— Satyapal Malik
शायद, इसलिए बुलावा आया है।
मैं किसान का बेटा हूं, घबराऊंगा नहीं।
सच्चाई के साथ खड़ा हूं। #CBI(@Satyapalmalik_) April 21, 2023
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন ২০১৮ সালে শিল্পপতি অনিল অম্বানীর বিমা সংস্থার একটি চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিলেন। সত্যপালের অভিযোগ ছিল, বিমা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। তার পর মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই বিমা প্রকল্পের আওতায় ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের সাড়ে তিন লক্ষ রাজ্য সরকারি কর্মী। ২০১৮-এর সেপ্টেম্বরে বিমা প্রকল্পটি চালু হয়। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই তা বাতিল করেন তৎকালীন রাজ্যপাল মালিক। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এই বিমা প্রকল্প নিয়ে খুশি নন। তাঁর কথায়, ‘‘কর্মীদের অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসার পর আমি গোটা প্রকল্পটির নথি খুঁটিয়ে পড়ি। পুরোটা পড়ে দেখার পর আমার মনে হয়েছিল ভুল ভাবে বরাত দেওয়া হয়েছিল। তাই বাতিল করে দিই।’’ এই মামলা নিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বরে একবার সত্যপালের সঙ্গে কথা বলেছিল সিবিআই। তার পর আবার তলব।
आख़िरकार PM मोदी से रहा न गया।
— Congress (@INCIndia) April 21, 2023
सत्यपाल मलिक जी ने देश के सामने उनकी कलई खोल दी। अब CBI ने मलिक जी को बुलाया है।
ये तो होना ही था।
एक चीज और होगी... 'गोदी मीडिया' अब भी चुप रहेगा, लिखकर रख लीजिए।
গত সপ্তাহেই ২০১৯-এর পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সত্যপাল। ‘দ্য ওয়্যার’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সত্যপাল দাবি করেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়কে নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে ঢিলেঢালা মানসিকতা ছিল প্রশাসনের। ওই ঘটনায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। সত্যপালের এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায়। বিরোধীরা মোদী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। এই প্রেক্ষাপটে সিবিআইয়ের তলব পেলেন সত্যপাল।