প্রতীকী ছবি।
কয়লা ও সুপারির অবৈধ সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগে মেঘালয় লোকায়ুক্ত আমলা, পুলিশকর্তা, রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস সাংমার পিএ, খনিসচিব, পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলের জেলাশাসক ও এসপি, সীমাবর্তী এলাকার থানাগুলির ওসি, চেক গেটের ভারপ্রাপ্ত কর্তা, খনি ও পরিবহন দফতরের কর্তারা। লোকায়ুক্তর নির্দেশ মুখ্যসচিব ও সিবিআইয়ের শিলং দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেঘালয় লোকায়ুক্তের চেয়ারপার্সন পি কে মুশাহারি জানান, লোকায়ুক্ত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে কী না তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু আইন স্পষ্ট বলছে, লোকায়ুক্ত তাদের বিবেচনা অনুযায়ী যে কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে পারে।
নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে মেঘালয় সরকারকে লোকায়ুক্তের সুপারিশ, অভিযুক্ত সরকারি কর্তা ও পুলিশকর্তাদের অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া হোক। লোকায়ুক্তের কাছে জমা পড়া অভিযোগে অসম, ত্রিপুরার অনেক ব্যক্তির নামও রয়েছে। এমনকী অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের এক ওএসডির নামও ৭১ জনের তালিকায় রয়েছে। শিলচরের বর্তমান ও প্রাক্তন ডিআইজি, কাছাড় ও করিমগঞ্জের বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তা, পরিবহণ অফিসার, বিক্রয় কর দফতরের বিভিন্ন কর্তা ও কয়লা রফতানিকারী সংগঠনগুলির কর্তাদের নামও রয়েছে। বলা হয়েছে, বৈধ অনুমতিপত্র ছাড়াই প্রতিদিন অন্তত চারশো ট্রাক কয়লা ও সুপারি নিয়ে মেঘালয়-অসমে যাতায়াত করত। তাদের পরীক্ষাও করা হত না। কয়লা যেত বাংলাদেশে।
মূল অভিযোগকারী অভিজিৎ বসুমাতারি দাবি করেছেন, ২০১৫ থেকে ভুয়ো চালান দেখিয়ে বেআইনি ভাবে ৫ লক্ষ কয়লাবাহী ট্রাক মেঘালয় থেকে অসমে এসেছে। সেই বাবদ প্রায় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। লোকায়ুক্ত জানায়, সিবিআইকে প্রথমে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তার পরেই সব অভিযুক্তকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy