রাকেশ আস্থানা। ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে সমস্ত রকম অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল সিবিআই। এক সূত্র মারফত তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির ডিরেক্টর পদ থেকে অবসর নিয়েছেন আর কে শুক্ল। সূত্রের খবর, যাওয়ার আগে তিনি আস্থানার ক্লিন চিট ফাইলে সই করেন। ফলে আস্থানার বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগই থাকল না। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তাঁকে সমস্ত রকম অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল সিবিআই।
প্রতারণায় অভিযুক্ত ওষুধ সংস্থা স্টার্লিং বায়োটেক-এর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আস্থানার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির কাছ থেকেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। চলেছে রাজনৈতিক টানাপড়েনও। শেষমেশ ২০১৮-তে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টরের পদ থেকে।
বর্তমানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধান হিসেবে কর্মরত তিনি। গত বছরের মার্চেই সিবিআই আস্থানাকে মইন কুরেশির থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। ওষুধ সংস্থার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার মামলাটি চলছিল। অবশেষে তা থেকেও আস্থানাকে রেহাই দিল সিবিআই।
সূত্রের খবর, আস্থানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও প্রমাণই পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই এই মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
২০১৭-র ৩০ অগস্ট প্রতারণায় অভিযুক্ত এক ওষুধ সংস্থা স্টার্লিং বায়োটেক-এর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। তৎকালীন ডিরেক্টর অলোক বর্মা আস্থানার বিরুদ্ধে স্টার্লিং বায়োটেক-এর কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তা নিয়ে সিবিআইয়ের অন্দরেই একটা ডামাডোলের সৃষ্টি হয়। আস্থানাকে স্পেশাল ডিরেক্টর পদে নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বর্মা। যদিও সেই পদেই আস্থানাকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
আস্থানাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী বলেন, “নিরপেক্ষ তদন্তই প্রমাণ করল যে, আস্থানাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিলেন তৎকালীন ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং কয়েক জন আধিকারিক। প্রথম থেকেই আমরা দাবি করেছিলাম যে, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এখন সেটা প্রমাণিত হল।”
আস্থানাকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার পরই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা হলে কি তাঁকে সিবিআই ডিরেক্টর পদে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছে? আর কে শুক্লর অবসরের পর ডিরেক্টরের পদ ফাঁকা। অন্তর্বর্তী কাজ চালাচ্ছেন ডেপুটি ডিরেক্টর। ডিরেক্টর পদে কাকে আনা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি। সূত্রের খবর, ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে বেশ কয়েক জনের নাম উঠেছে এসেছে। তাঁদের মধ্যে রাকেশ আস্থানাও আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy