ফাইল চিত্র।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ় সম্পূর্ণ হওয়ার পর সংক্রমণের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা তো মেলেই, এড়ানো যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতিও। তাদের বিস্তারিত পর্যালোচনায় এমনটাই উঠে এসেছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে ভেলোরের ‘ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ’ (সিএমসি)। তবে টিকাকরণে স্বস্তির আশ্বাস মিললেও দু’টি ডোজ়ের ব্যবধান বেড়ে গেলে বেড়ে যায় কোনও এক স্ট্রেনের কাছে শরীরের প্রতিরোধক ক্ষমতার হার মানার আশঙ্কাও। শুক্রবার এই কথা জানালেন আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসনের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রোগ অ্যান্টনি ফাউচি। যার পর ফের একবার প্রশ্নের মুখে কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজ়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। যদিও প্রতিষেধকের সরবরাহ কম থাকলে ডোজ়ের ব্যবধান বাড়ানোই উপায়, মত ফাউচির।
এর মাঝেই কেন্দ্রের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্স এবং এমসের চিকিৎসকদের একটি দল জানিয়েছে, ব্যাপক হারে এবং ‘বাছবিচারহীন ভাবে’ টিকাকরণ বাড়িয়ে তুলতে পারে আরও কিছু মিউট্যান্ট স্ট্রেনের উৎপত্তির আশঙ্কা। আর টিকাকরণ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার মতো সমস্যা এই আগুনে ঘি ঢালার মতোই কাজ করবে বলে দাবি তাদের। অতিমারির তথ্য এবং ভ্যাকসিনের সরবরাহ-চিত্র ব্যাখা করে যাঁদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাঁদের টিকাকরণের দিকেই জোর দেওয়া হোক, মত তাদের।
অতিমারির সঙ্গে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনের অপচয় বন্ধ করে প্রত্যেকটি ডোজ়ের সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির দিকে তারা ‘সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে’ বলে শুক্রবার জানাল কেন্দ্র। ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের ‘১% অপচয় নীতির’ সমালোচনার জন্য এ দিন কেন্দ্রের তোপের মুখে পড়ে সংবাদমাধ্যম।
ভারতে গত চার দিন পাঁচের নীচেই রয়েছে করোনা পজ়িটিভের হার। শুক্রবার তা ছিল ৪.৪৮%। প্রায় ৬১দিন পরে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ১১,২১,৬৭১। গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩২,৭৪,৬৭২ জন। ভারতে এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন মোট ২,৪৬,০৮৫,৬৪৯ জন। উত্তরপ্রদেশের পরে টিকাকরণের হারে সবচেয়ে নীচে রয়েছে তামিলনাড়ু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy