আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। —ফাইল ছবি।
জাতপাতই গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে বলে সওয়াল করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর মুখপত্রে। এর আগে আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বেশ কয়েকবার জাতপাতের বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। কিন্তু এখন বিরোধীদের জাতগণনার দাবি ও জনসংখ্যায় অনুপাতের হিসেবে সংরক্ষণের দাবির মুখে বিজেপি-আরএসএসকে বোঝাতে হচ্ছে, গেরুয়া শিবির সংরক্ষণের বিরুদ্ধে নয়। এ বার আরএসএসের মুখপাত্রেরর সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়েছে, জাতপাতের ব্যবস্থাই ভারতীয় সমাজকে এককাট্টা রেখেছে। মোগলরা এই জাতপাতের ব্যবস্থা বুঝতে পারেনি। ব্রিটিশরা একে ভারত দখলের বাধা হিসেবে দেখেছে। আরএসএসের মুখপত্রের মতে, জাতপাতের ব্যবস্থা ভারতীয় সমাজকে পেশা ও প্রথা অনুযায়ী ভাগ করেছে। এই শৃঙ্খলা ভারতের বিভিন্ন শ্রেণিকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তফসিলি জাতি, জনজাতির মধ্যে পশ্চাৎপদদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলেছে। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছলদের জন্য যে সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার নীতি এসসি, এসটি-দের ক্ষেত্রেও চালু করতে বলেছে। এর ফলে এনডিএ-র জাতপাতের রাজনীতি করা দলগুলি বিরোধিতা করায় মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সংরক্ষণের সুবিধা থেকে কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। এ বার আরএসএস জাতপাতের পক্ষে সওয়াল করেছে।
আরএসএসের এই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। তাঁর মতে, এর ফলে আরএসএসের মনুবাদী চরিত্রই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জাতপাত সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেনি। বরং সামাজিক বিভাজন তৈরি করেছে। আরএসএসের এই অবস্থান ভীমরাও অম্বেডকরের ভাবনা ও সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই যে সাম্যের কথা বলা হয়েছে, তার বিরোধী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy