অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো করে পরে ব্যবসায়ীর কাছে ৮০ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন ইউটিউবের এক যুগল। প্রতীকী ছবি।
এক যুগলের সঙ্গে রাত কাটিয়েছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো করে পরে সেই ব্যবসায়ীর কাছে ৮০ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেন ওই যুগল। টাকা না দিলে ভিডিয়ো ফাঁস করে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও ব্যবসায়ীকে ভয় দেখান যুগল। পরে ওই যুগলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গুরুগ্রামের আদালতে যুগল অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য আবেদন জানান। কিন্তু সেই আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২১ বছর ব্যবসায়ীটি একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার মালিক। বিজ্ঞাপন সংস্থার হয়ে কাজ করার সূত্রে নামরা কাদির নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। শোহনা রোডের একটি হোটেলে নামরাকে ডেকেও পাঠান তিনি। নামরার সঙ্গে ছিলেন বিরাট ওরফে মণীশ বেনিওয়াল। ইউটিউব মাধ্যমে ভিডিয়ো বানিয়ে পোস্ট করতেন এই যুগল। বিজ্ঞাপন সংস্থার প্রচারে কাজ করবেন বলে এই যুগলকে অগ্রিম আড়াই লক্ষ টাকা দেন তিনি। কিন্তু কাজ না এগোনোয় নামরার সঙ্গে আবার যোগাযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী। নামরা পরে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
সূত্রের খবর, এই ব্যবসায়ী দিল্লির বাদশাহপুরের বাসিন্দা। নামরার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে পুলিশকে জানান তিনি। বিরাট এবং নামরার সঙ্গে রাতও কাটিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী।পুলিশ সূত্রের খবর, নামরা-বিরাট দিল্লির শালিমার বাগের বাসিন্দা। ব্যবসায়ীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো করেছিলেন তাঁরা। এমনই দাবি ব্যবসায়ীর।
পরে ৮০ লক্ষ টাকা চেয়ে ব্যবসায়ীকে হুমকি দেন নামরা-বিরাট। টাকা না দিলে ওই ভিডিয়ো দেখিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেবেন বলে ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীর। অগস্টে এই নামরা-বিরাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অক্টোবরের ১০ তারিখ নামরাদের কাছে পুলিশ নোটিস পাঠায়। অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য ওই যুগল গুরুগ্রাম আদালতে আবেদন জানালে তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি নামরা-বিরাটকে গ্রেফতার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy