—ফাইল চিত্র
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন— করোনার এই দুই টিকাকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। জোরকদমে তোড়জোড় চলছে গণ-টিকাকরণের। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই আইনি জটিলতায় ধাক্কা খেল সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড।
নামের স্বত্ব বা ট্রেডমার্কের দাবিতে কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে সোমবার মামলা দায়ের করেছে মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থা। তারই ভিত্তিতে মঙ্গলবার সিরাম ইনস্টিটিউটকে নোটিস পাঠিয়েছে পুণের এক আদালত।
কিউটিস-বায়োটেক নামে মামলাকারী ওই সংস্থার দাবি, গত বছর থেকে কোভিশিল্ড নামে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক স্প্রে, স্যানিটাইজ়ার, আনাজ ও ফল জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক বিক্রি করছে তারা। অন্য দিকে সিরামের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন এখনও বাজারে আসেনি। তাই সিরামের উচিত, কোভিশিল্ড ছাড়া অন্য যে কোনও নাম বেছে নেওয়া। তা না-হলে কিউটিস-বায়োটেকের ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।
আদালতে মামলাকারী সংস্থা জানিয়েছে, কোভিশিল্ড নামের ট্রেডমার্ক পেতে গত বছর ২৯ এপ্রিল আবেদন জানিয়েছিল তারা। সেই প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে তারা এখনও অনুমোদন পায়নি। তবে ৩০ মে থেকে কোভিশিল্ড নামে বাজারে নানা জিনিস বেচছে তারা। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার দাবি, কোভিশিল্ড নামটির ব্যবহারে সিরামের উপরে স্থগিতাদেশ দিক কোর্ট। কিউটিস-বায়োটেক জানিয়েছে, তারা চায় সিরামের ভ্যাকসিন দ্রুত বাজারে আসুক। কিন্তু একই নামে নয়। কোভিশিল্ডের পাশাপাশি কোভিডরোটেক্ট, কোভি-ভ্যাক, কোভিড-ভ্যাক, কোভি-ভ্যাক্স ইত্যাদি একাধিক নামে ভ্যাকসিনের ট্রেডমার্কের পেতে আবেদন জানিয়েছিল সিরাম ইনস্টিটিউট। তার মধ্যে থেকেই অন্য কিছু যেন বেছে নেওয়া হয়, সেই দাবিই জানিয়েছে তারা। এই আবেদনের ভিত্তিতে জবাব তলব করে সিরামকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।
দেশে করোনা পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল হলেও শঙ্কা বাড়াচ্ছে ব্রিটেন থেকে আসা নয়া স্ট্রেন। বুধবার পর্যন্ত নতুন স্ট্রেনে মোট ৭৩ জন সংক্রমিত হওয়ার খবর জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,০৮৮ জন। যা আগের দিনের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ বেশি। এক দিনে মৃত ২৬৪ জন। ওই সময়ে সুস্থ হয়েছে ২১,৩১৪ জন।
পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও, ব্রিটেনের থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই স্কুল খোলার কথা তারা ভাবছে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিল কেন্দ্র। বুধবার সেই সিদ্ধান্তের উল্টো পথে হেঁটে, রাজ্যে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল পঞ্জাব সরকার। পঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী বিজয় ইন্দ্র সিংহ আজ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সমস্ত সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি স্কুল খুলবে। সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত ক্লাস চলতে পারে। অভিভাবকদের দাবি মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
গত বছর লকডাউনের পর থেকে দেশ জুড়ে সমস্ত স্কুল বন্ধ। পঞ্জাব প্রশাসনের দাবি, এ বছর বার্ষিক পরীক্ষায় আগে কয়েকটা দিন পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে এসে পাঠ্যক্রম বুঝে নিতে পারে, তার জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত কোভিড-বিধি মেনে স্কুল চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy