দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উপকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সংসদ ভবন। অন্দরসজ্জাতেও রয়েছে নানা চমক। ছবি: পিটিআই।
২০২০ সালে অতিমারির মাঝামাঝি সময়ে কার্পেট বানানোর প্রকল্প পেয়েছিল সংস্থাটি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বুননের কাজ শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ২০২২ সালের মে-তে। সেই কার্পেটই এখন শোভা পাচ্ছে নতুন সংসদ ভবনের দুই কক্ষে। লোকসভা এবং রাজ্যসভায়।
‘ওবিতি কার্পেট’। দেশের ১০০ বছরের পুরনো কার্পেট প্রস্তুতকারী সংস্থা। ওই সংস্থা সূত্রে খবর, এই কার্পেট তৈরিতে কাজে লাগানো হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি এবং মির্জাপুর জেলার ৯০০ শিল্পীকে। দু’টি কক্ষের জন্য ১৫০টি করে কার্পেট বোনা হয়েছে। তার পর সেই কার্পেটগুলিকে জুড়ে একটি পূর্ণ কার্পেট বানানো হয়েছে। এর পর সেই কার্পেট লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই হাউসের মোট ৩৫ হাজার বর্গফুট মেঝেতে তা বিছানো হয়েছে।
সংস্থার চেয়ারম্যান রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দু’টি হাউসের জন্য সাড়ে ১৭ হাজার বর্গফুটের কার্পেট বানানো হয়েছে। আলাদা আলাদা কার্পেট জুড়ে একটি পূর্ণ কার্পেটে রূপ দেওয়ার বিষয়টি পরিকল্পক দলের কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল।” তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্যসভার জন্য যে কার্পেট বানানো হয়েছে, তাতে লাল আভা দেওয়া হয়েছে। আর ময়ূরপুচ্ছের রঙের বিষয়টি মাথায় রেখেই লোকসভার কার্পেটের রং করা হয়েছে সবুজ।
রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই সংসদ ভবনকে ঢেলে সাজানো হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উপকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সংসদ ভবন। অন্দরসজ্জাতেও রয়েছে নানা চমক। তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে নাগপুরের সেগুনকাঠ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে আনা কার্পেট! এ ছাড়াও রাজস্থানের সরমথুরা থেকে লাল এবং সাদা বেলেপাথর এনে তৈরি হয়েছে সংসদ ভবনের একাংশ। নতুন সংসদ ভবনের উচ্চ এবং নিম্নকক্ষ (রাজ্যসভা এবং লোকসভা)-এর ‘ফলস সিলিং’ তৈরিতে ব্যবহৃত ইস্পাতের কাঠামো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন এবং দিউ থেকে আনানো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy