অপরাধের ইতিহাস রয়েছে এমন প্রার্থীকে চিহ্নিত করতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্ট এ দিন সমস্ত দলগুলির উদ্দেশ্যেই স্পষ্ট জানিয়েছে, অপরাধের ইতিহাস রয়েছে এমন প্রার্থীকে চিহ্নিত করতেই হবে। যুক্তি হিসেবে বিচারপতি এফ নরিম্যানের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘জয়ের সম্ভাবনাই প্রার্থী বাছাইয়ের একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। বরং প্রার্থী বাছতে হবে তাঁর গুণাগুণ বিচার করে।’’
কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রার্থীর নামে কোনও অপরাধমূলক অভিযোগ থাকলে তা দলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে হবে। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে নথি দিতে হবে অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে। বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চের মতে, যদি কোনও রাজনৈতিক দল এই নির্দেশিকা না মানে তবে তা আদালত অবমাননার সামিল হবে।
আরও পড়ুন:তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রবিবার শপথ নেবেন কেজরী
আরও পড়ুন:মূূল্যবৃদ্ধি সাড়ে পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি, মোদীর স্বপ্নে কই বাস্তবের হিসেব!
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মর্মে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় যে, গুরুতর অপরাধে নাম জড়িয়েছে এমন অপরাধীদের ভোটের টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করতে হবে। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় এর কিছুদিন পরে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দিয়ে জানান, এই আইন প্রণয়নে সরকারি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
শুনানি চলাকালে নির্বাচন কমিশন আদালতে জানিয়েছিল, সাংসদদের ৪৩ শতাংশেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তখন আদালত নির্দেশ দেয়, নমিনেশান জমা দেওয়ার পরে তিনবার সংবাদপত্রে অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করতে হবে প্রার্থীকে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নির্বাচন কমিশন সংশোধিত ফর্ম-১৬ জমা দেওয়ার ও অপরাধের নথি পেশ করার নির্দেশ দেয় রাজনৈতিক দলগুলিকে। কিন্তু অশ্বিনী উপাধ্যায়ের মতে, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনী নির্দেশিকা বা মডেল কোড অব কন্ডাক্ট (এমএমসি) অনুযায়ী এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়নি, ফলে এই নির্দেশিকা আইনানুগ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy