মোদী জমানায় সেই সিএজি-কে নখদন্তহীন করে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন
ইউপিএ জমানায় একের পর এক সিএজি-র রিপোর্টই মনমোহন সিংহের সরকারের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিল। মোদী জমানায় সেই সিএজি-কে নখদন্তহীন করে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিএজি-র আয়োজনে প্রথম অডিট দিবসে দাবি করলেন, এখন কেন্দ্রের হিসেবনিকেশ পরীক্ষা বা অডিটকে সরকারের কাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলেই মনে করা হয়। অনেক দশক পরে সিএজি বা কন্ট্রোলার ও অডিটার জেনারেল যথাযোগ্য সম্মান পাচ্ছে।
ইউপিএ সরকারের আমলের সিএজি বিনোদ রাই দাবি করেছিলেন, রিপোর্ট থেকে মনমোহন সিংহের নাম বাদ দিতে বলা হয়েছিল। সম্প্রতি রাই নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তার পরেই কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, প্রাক্তন সিএজি কি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন?
আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘এক সময়ে হিসেব পরীক্ষাকে ভয়, সন্দেহের চোখে দেখা হত। সিএজি বনাম সরকারের ধারণাই জনমানসে বসে গিয়েছিল। সেই ধারণা এখন পাল্টেছে।’’ সিএজি চাইলে সরকারের ফাইল পৌঁছে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী এই দাবি করলেও বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী জমানায় সিএজি-র রিপোর্টের সংখ্যাই কমেছে। মনমোহন সরকারের শেষ বছরের হিসেবনিকেশ পরীক্ষা করে সিএজি ২০১৫-তে ৫৫টি রিপোর্ট সংসদে পেশ করেছিল। ২০২০-তে রিপোর্টের সংখ্যা ১৪। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ২০১৭-য় রিপোর্টের সংখ্যা ছিল ৮টি। ২০২০-তে শূন্যে নেমে আসে। রেলে ২০১৭-য় রিপোর্টের সংখ্যা ছিল পাঁচটি। ২০২০-তে তা তিনটিতে নামে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, মোদীর আমলে সিএজি ‘কেজড’ বা খাঁচাবন্দি হয়ে গিয়েছে। সিএজি গিরিশ চন্দ্র মূর্মু আজকের অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, ২০২০-২১-এ সিএজি ১২৩টি রিপোর্ট জমা করেছে। তার মধ্যে ৬৭টি সরকারি প্রকল্পের মূল্যায়ন সংক্রান্ত রিপোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy