কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। —ফাইল চিত্র
কৃষিক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। গম, ডাল, তৈলবীজ-সহ প্রায় সব রকম রবিশস্যের ন্যূনতম সহায়কমূল্য এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হল মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এ ছাড়াও দিল্লিতে কলোনিতে বসবাসকারী ৪০ লক্ষ পরিবারকে মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্তও বুধবারের বৈঠকে নিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামী বছর দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
ফলন ভাল হলেও চাষিরা দাম পান না— এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চাষ করেও দাম না পাওয়ায় সর্বস্বান্ত হন অনেক চাষি। কৃষক আত্মহত্যার ঘটনাও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই। সব মিলিয়ে কার্যত কৃষিক্ষেত্রই ধুঁকছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এই ছবিটা পাল্টাতে কিছুটা হলেও কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
রবিশস্যের চাষ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন চাষিরা। আর দু’-তিন মাসের মধ্যেই উঠতে শুরু করবে ফসল। তার আগে এ দিন বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, গম, সর্ষে-সহ সব তৈলবীজ, সব রকম ডালের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। বৈঠক সূত্রে খবর, ফসলভিত্তিক ৫০ থেকে ১০৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ফসলের সহায়ক মূল্য।
দ্বিতীয় বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দিল্লির কলোনি এলাকায় বসবাসকারীদের মালিকানা বা পাট্টা দেওয়ার। অর্থাৎ যে সব বাসিন্দা সরকারি খাস জমিতে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করছেন, তাঁদের পাকাপাকি মালিকানা দিয়ে দেবে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ দিন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করেন। হরদীপ পুরী বলেন, ‘‘সরকারি হোক বা বেসরকারি, সবাইকে মালিকানা স্বত্ব দেওয়া হবে।’’ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, প্রগতিশীল ও বৈপ্লবিক’ আখ্যা দেন তিনি।
আরও পডু়ন: ফের ন্যাম সম্মেলন এড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, বিদেশনীতিতে বদল, উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়নরা অত সহজে শেষ হয় না, ধোনি-প্রসঙ্গে নিজের তুলনা টানলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ
মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। অন্য দিকে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবনা হল, আমরা পারি। এটা রাজনীতি নয়। ওই সব এলাকায় পার্ক, বিদ্যুৎ, নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy