Advertisement
E-Paper

সিএএ ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপুঞ্জকে বার্তা ভারতের

সিএএ-র আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে যে সমস্ত মামলা চলছে, তাতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২০ ১৬:২২
Share
Save

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে কোনও বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না। এমনটাই মত ভারতের। সিএএ-র আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে যে সমস্ত মামলা চলছে, তাতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ। এই মর্মে নজিরবিহীন ভাবে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। তবে এ নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়ে ভারত জানাল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এবং ভারতের সার্বভৌমিকতার সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়েই হস্তক্ষেপের অধিকার নেই বিদেশি পক্ষের। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদকে কড়া বার্তা ভারতের।

সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশজোড়া আন্দোলনের আবহে ইতিমধ্যেই বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের মামলাগুলিতে তৃতীয় পক্ষ হওয়ার আবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ। বিষয়টি জানার পর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি আইন প্রণয়নকারী সংসদের সার্বভৌম অধিকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের সার্বভৌমিকতায় সঙ্গে জড়িত কোনও বিষয়ের সঙ্গে বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ করার অধিকার থাকতে পারে না।’’

গত বছরের ডিসেম্বরে সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পর থেকে এর বিরোধিতায় মুখর হয়েছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বাম দলগুলি। জানুয়ারিতেও সিএএ-র আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৪৩টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই আবেদনকারীর মধ্যে কংগ্রেস, ডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ-সহ বিভিন্ন বাম দল রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে ওই দলগুলি। যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ বরাবরই খারিজ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

আরও পড়ুন: ভারত মাতা কি জয় নিয়েও অসুবিধা? মনমোহনকে কটাক্ষ মোদীর

আরও পড়ুন: দিল্লিতে পুলিশের দিকে পিস্তল তাক করা সেই যুবক গ্রেফতার​

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিবৃতিতেও সরকারের দাবি, ‘‘দেশভাগের মতো দুঃখজনক ঘটনা থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার বিষয়গুলির প্রতি আমাদের দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই আইন।’’ মোদী সরকারের আরও দাবি, এই আইনবলে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টিও সহজ হবে। এবং তা ‘সাংবিধানিক ভাবে বৈধ’।

CAA Citizenship Amendment ACT India Supreme Court Of India UNHRC UN Human Rights Council Narendra Modi United Nations

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}