সিএএ-র বিরুদ্ধে পোস্টার হাতে এক ব্যক্তি। —ফাইল চিত্র।
বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছর পরে গত সোমবার দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) জারি করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। আর মঙ্গলবারই সিএএ আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল একটি মুসলিম সংগঠন। কেরলের আঞ্চলিক দল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)-এর তরফে শীর্ষ আদালতে সিএএ নিয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনে আইইউএমএল-এর তরফে বলা হয়েছে, সিএএ ‘অসাংবিধানিক এবং বিভাজনের আইন’।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। কিন্তু সিএএ-তে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। প্রায় সাড়ে চার বছর আগে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। কিন্তু এত দিন ধরে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ কার্যকর হবে। শুধু তা-ই নয়, শাহ এ-ও বলেছিলেন, শীঘ্রই সিএএ কার্যকর করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে।
সিএএ কার্যকর করা নিয়ে দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যেই টালবাহানা চলছিল। অন্য দিকে, করোনা পর্বের আগে থেকেই দেশের নানা প্রান্তে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সারা দেশে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ যায় প্রায় ১০০ জনের। বিজেপি বিরোধী দলগুলিই এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সিএএ কার্যকর করার বিরোধী। এখনও পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তার আগেই গোটা দেশে চালু হয়ে গেল সিএএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy