Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
India's Population

২০৬০ সালের পর কমবে জনসংখ্যা, তবুও শতাব্দী শেষে শীর্ষস্থানেই ভারত! পূর্বাভাস দিচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ

রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, জনসংখ্যা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকছে। ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ১৫:২৯
Share: Save:

চিনকে সরিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। ২০১১ সালের পর ভারতে জনসুমারি না হলেও ২০২৩ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান অনুসারে, দুই দেশের মধ্যে জনসংখ্যার পার্থক্য প্রায় ২০ লক্ষের। ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষ। অন্য দিকে, চিনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি জনসংখ্যা সংক্রান্ত সমীক্ষায় অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যাই সবচেয়ে বেশি হবে— ১৭০ কোটি। তার পরই ভারতের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ কমবে। একবিংশ শতাব্দীর শেষে জনসংখ্যা অনেকটা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, জনসংখ্যা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালের শেষে ভারতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হতে পারে ১৪৫ কোটি। চিনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছতে পারে। জনসংখ্যা হতে পারে ১৭০ কোটি। তবে এই সময়ের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ১২০ কোটির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুসারে, ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। চিনের জনসংখ্যা অনেকটাই কমে হতে পারে ৬৩ কোটি। জনসংখ্যার নিরিখে ভারত এবং চিনের পরে থাকতে পারে আমেরিকা। সে দিক থেকে দেখতে গেলে জনসংখ্যা কমলেও একবিংশ শতাব্দীর শেষেও ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশই থাকছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স' (দেসা)-এর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভাগ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রশ্নের উত্তরে ‘দেসা’র অন্যতম জনসংখ্যা আধিকারিক ক্লেয়ার মেনোৎজ়ি বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক আয়তন এবং জন্মহার কমার জন্য ২০২৪ থেকে ২০৫৪ সালের মধ্যে চিনে জনসংখ্যা ২০ কোটিরও বেশি কমতে পারে।” এই সময়ের মধ্যে জাপানে ২ কোটি, রাশিয়ায় ১ কোটি জনসংখ্যা কমতে পারে।

দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের তকমা পাওয়া চিন ‘এক সন্তান নীতি’র উপরে জোর দেওয়ার পরেই সে দেশে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। ছয় দশক পরে প্রথম বারের জন্য চিনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শুধু থমকেই যায়নি, অস্বাভাবিক ভাবে কমতেও থাকে। তথ্য বলছে, ভারতেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থমকে গিয়েছে। ২০১১ সালের পর এ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০২ শতাংশে থমকে গিয়েছে, যা আগে ছিল ১.০৭ শতাংশ। এর জেরেই ২০৬০ সালের পর জনসংখ্যা কমবে এ দেশে। জনসংখ্যা হ্রাসে লাগাম পরাতে চিন বেশ কয়েক বছর ধরেই ‘এক সন্তান নীতি’তে রাশ টেনেছে। বরং একের বেশি সন্তান নেওয়ায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India China Population UN United Nations
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE