কুম্ভমেলা শেষ হতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি। বুধবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিধানসভায় দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত ৫৬ কোটিরও বেশি পুণ্যার্থী কুম্ভমেলায় স্নান করেছেন। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় যে কোটি কোটি টাকার ব্যবসাও হয়েছে, তা পুণ্যার্থীর সংখ্যা থেকেই অনুমান করা যায়। বণিক সভার অনুমান, এখনও পর্যন্ত ৩০০০০০,০০,০০,০০০ টাকারও বেশি অঙ্কের ব্যবসা হয়েছে কুম্ভমেলায়। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) দাবি করছে, বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবায় এই তিন লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এটি দেশের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক অনুষ্ঠান হিসাবে উঠে এসেছে।
কুম্ভমেলা শুরুর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী দাবি করেন, প্রায় ৪০ কোটি পুণ্যার্থী প্রয়াগরাজে আসবেন। কুম্ভ শুরুর আগে বণিক সভারও অনুমান ছিল, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে এ বারের কুম্ভমেলায়। তবে সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত অনুমিত সংখ্যার চেয়েও বেশি পুণ্যার্থী এসেছেন কুম্ভস্নান করতে। বণিক সভার হিসাব বলছে, ব্যবসাও হয়েছে অনুমানের চেয়ে বেশি।
মেলা শুরুর আগে যোগী জানান, ২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভ রাজ্যের অর্থনীতিতে বড় ছাপ রেখেছিল। সে সময় সরকার আয় করেছিল এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি। সে বার প্রায় ২৪ কোটি মানুষ ভিড় করেছিলেন প্রয়াগরাজে। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েই আদিত্যনাথ জানান, এ বারের মেলা থেকে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তা দু’লক্ষ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে আশা করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বস্তুত, এ বারের কুম্ভমেলার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েই প্রচুর প্রচার করেছে। কুম্ভমেলা শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে। নেতা, মন্ত্রী, রাজনীতিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংবিধানিক পদাধিকারী, অভিনেতা-অভিনেত্রীও গিয়েছেন কুম্ভস্নান করতে। পুণ্যের আশায় ভিড় করেছেন প্রচুর সাধারণ মানুষও। কুম্ভমেলা শুরুর আগে যোগী দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রশাসন ১০০ কোটি মানুষের ভিড় সামলানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তবে তাঁর ‘বিশ্বমানের ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ মুখ থুবড়ে পড়েছে মেলা শুরুর পরে। কুম্ভমেলার ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। প্রশ্ন উঠেছে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়েও।