এই জায়গাতেই বসানো হয়েছিল বাসস্ট্যান্ডের কাঠামোটি। ছবি: সংগৃহীত।
সন্ধ্যায় যে বাসস্ট্যান্ড শহরের রাস্তায় দেখা গিয়েছে, ভোর হতেই তা গায়েব! রাতারাতি ‘চুরি’ গেল ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বাসস্ট্যান্ড! এই ঘটনায় সারা বেঙ্গালুরু শহর জু়ড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৈরি করার এক সপ্তাহ পরেই চুরি গিয়েছে বাসস্ট্যান্ডটির ইস্পাতের কাঠামো। বাসস্ট্যান্ডের চেয়ার, ছাদ, থাম— কোনও কিছু বাদ রাখা হয়নি। সব তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাসস্ট্যান্ডটি বেঙ্গালুরুর কানিংহাম রোডে তৈরি করা হয়েছিল। যা তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল ‘বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিএমটিসি)’। বিএমটিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট এন রবি রেড্ডি গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাসস্ট্যান্ডটি চুরি যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের পর তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এর আগে গত মার্চে কল্যাণনগর এলাকায় তিন দশকের পুরনো একটি বাসস্ট্যান্ড রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কল্যাণনগরের বাসিন্দাদের দাবি, ১৯৯০ সালে বাসস্ট্যান্ডটি নির্মাণ করা হয়েছিল বেসরকারি উদ্যোগে। কিন্তু রাতারাতি কারা যেন সেই বাসস্ট্যান্ডটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যদিও বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিএমটিসি)-এর আধিকারিকেরা দাবি করেছেন, বাসস্ট্যান্ডটিকে সরিয়ে দিয়েছে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি)।
তারও আগে ২০১৫ সালের মে মাসে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর দুপানাহাল্লি বাসস্ট্যান্ড। ২ লক্ষ টাকা খরচ করে বানানো সেই বাসস্ট্যান্ড রাতারাতি ‘গায়েব’ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪ সালেও ২০ বছরের পুরনো রাজরাজেশ্বীনগরের একটি বাসস্ট্যান্ডও ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায়।
শহর থেকে একের পর এক বাসস্ট্যান্ড ‘গায়েব’ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিবিএমপি-র তখন ব্যাখ্যা ছিল, লোহালক্কড় এবং ইস্পাত বিক্রি করে টাকা উপার্জনের লোভে বাসস্ট্যান্ডগুলিকে নিশানা বানাচ্ছে চোরের দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy