দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবনের কাছে মিলল আধপোড়া নোট! সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে রবিবার দুপুরে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, জমে থাকা ঝরা পাতার মাঝে আধপোড়া কিছু ৫০০ টাকার নোটের টুকরো। এএনআই জানিয়েছে, বিচারপতি বর্মার বাসভবনের কাছেই সেগুলি উদ্ধার হয়েছে।
দোলের ছুটি চলাকালীন বিচারপতি বর্মার বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ। বিচারপতির সরকারি বাংলোয় আগুন লেগে গিয়েছিল। তাঁর পরিবারের সদস্যেরাই দমকল ডেকেছিলেন। দমকলের কর্মীরা বাড়িতে ‘টাকার পাহাড়’ দেখতে পান বলে দাবি করা হচ্ছে। ওই সময়ে বিচারপতি বর্মা শহরে ছিলেন না। ওই ঘটনার জেরে বিতর্ক ছড়ায়। পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। ‘নগদকাণ্ডে’র অনুসন্ধানের জন্য শীর্ষ আদালত একটি কমিটি গঠন করেছে। তাতে তিন হাই কোর্টের তিন জন বিচারপতি রয়েছেন। ‘নগদকাণ্ড’ ঘিরে এই বিতর্কের মাঝেই রবিবার দুপুরে সাফাইকর্মীরা দাবি করেন, তাঁরা বিচারপতি বর্মার বাসভবনের কাছে আবর্জনা পরিষ্কার করার সময়ে ময়লার স্তূপের মধ্যে ওই আধপোড়া নোটের টুকরো খুঁজে পেয়েছেন।
ইন্দ্রজিৎ নামে ওই সাফাইকর্মীর দাবি, তাঁরা চার-পাঁচ দিন আগেও এই এলাকায় আবর্জনা সাফ করার সময়ে আধপোড়া ৫০০ টাকার নোটের ছোট ছোট কিছু টুকরো খুঁজে পেয়েছিলেন। এর পরে রবিবার ফের কিছু নোটের টুকরো তাঁরা পেয়েছেন বলে দাবি। অপর এক সাফাইকর্মী সুরেন্দ্রও একই দাবি করেছেন। তাঁরও বক্তব্য, চার-পাঁচ দিন আগে আধপোড়া নোটের টুকরো পেয়েছিলেন তাঁরা। এর পরে রবিবার ফের তাঁরা নোট খুঁজে পেয়েছেন। যদিও বিচারপতি বর্মার বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা কেবল আবর্জনা সাফ করেন।

রবিবার বিচারপতি বর্মার বাসভবনের কাছে আধপোড়া নোটের টুকরো পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সাফাইকর্মীদের। ছবি: এক্স।
আরও পড়ুন:
বিচারপতি বর্মার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দিল্লি হাই কোর্টের থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল শীর্ষ আদালত। ওই রিপোর্ট ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে এবং তা শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পোড়া টাকার ছবি এবং ঘটনার দিনের ভিডিয়োও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিচারপতি বর্মার বক্তব্য। তিনি গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন। জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি দিল্লিতে ছিলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে ভোপালে গিয়েছিলেন। যে ঘর থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটি তাঁর মূল বাসভবনের বাইরে বলেও দাবি করেছেন বিচারপতি বর্মা। তাঁর দাবি, ওই ঘরে বাইরের লোকজনও যাতায়াত করে থাকেন। কী ভাবে সেখানে এত টাকা এল, তা তিনিও জানেন না।