বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান অবতরণের আগের মুহূর্ত। —ফাইল চিত্র।
দেশীয় উড়ান সংস্থাগুলির একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। গত দু’সপ্তাহে ৫০০-রও বেশি বিমানে বোমা থাকার হুমকি তথ্য ছড়িয়েছে। পরে দেখা গিয়েছে, সবই ভুয়ো। বিমানে বোমা থাকার এত ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে গত কয়েক দিনে যে, কোনটিকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে, তা নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার কিছুটা সুরাহা করতে এ বার পদক্ষেপ কেন্দ্রের। বিমানে বোমাতঙ্কের গুরুত্ব নির্ধারণের জন্য কোন কোন মাপকাঠিকে গুরুত্ব দিতে হবে— তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (বিসিএএস)।
সম্প্রতি বিমানে যে বোমাতঙ্কগুলি ছড়িয়েছে, তার সিংগভাগেরই উৎস সমাজমাধ্যম। তার মধ্যে অনেকগুলিতেই ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে নামের বদলে উদ্ভট গোছের কোনও কিছু ছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে সমাজমাধ্যমের ওই হ্যান্ডলের ধরণ বিবেচনা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছে বিসিএএস। বিশেষ করে, সেটি ব্যবহারীর নিজস্ব নামে রয়েছে, নাকি ওই জাতীয় কোনও বেনামি হ্যান্ডল, তা দেখতে হবে। পাশাপাশি, বিমানটি যাত্রাপথের অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিমানে কোনও ভিআইপি রয়েছেন কি না, তা-ও এ সব ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখার জন্য বলেছে বিসিএএস।
বর্তমানে কোনও বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ালে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে বম্ব থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট কমিটি আলোচনায় বসে। হুমকি তথ্যের বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় বোমাতঙ্কগুলিকে— নির্দিষ্ট তথ্য, অনির্দিষ্ট তথ্য এবং ভুয়ো তথ্য। বিসিএএসের প্রতিনিধি ছাড়াও এই কমিটিতে থাকেন সিআইএসএফের জওয়ানেরা, স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং উড়ান সংস্থার আধিকারিকেরা।
আধিকারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, গত দু’সপ্তাহে বিমানে বোমাতঙ্কগুলি বিশ্লেষণ করে একটি নির্দিষ্ট ধরন পাওয়া গিয়েছে। একটি সমাজমাধ্যম হ্যান্ডল থেকেই একাধিক বিমানে বোমা রাখার তথ্য ছড়ানো হয়েছে। আগে এই ধরনের হুমকি তথ্যগুলিকে বিশ্লেষণ করে ‘নির্দিষ্ট তথ্য’ হিসাবে বিবেচনা করা হত। কিন্তু, এখন আরও একাধিক বিষয়কে খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy