দূষণের ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে দিল্লির। মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান। দিল্লি সরকার যখন দূষণ ঠেকাতে মরিয়া, সেই সময় রাজধানীর পরিবেশকে আরও দূষিত করে তুলছিল বিএস থ্রি পেট্রল এবং বিএস ফোর ডিজেলচালিত গাড়িগুলি। তাই রাজধানীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার যে সব পদক্ষেপ করেছে, তার মধ্যে এই দুই মডেলের গাড়ি নিয়েও পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।
এই দুই মডেলের গাড়ির কারণে রাজধানীর বাতাস যাতে আরও দূষিত না হয়ে ওঠে, তাই রাস্তায় এই দুই ধরনের গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, পড়শি রাজ্য হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে যাতে এই দুই ধরনের গাড়ি রাজধানীতে ঢুকতে না পারে, সে দিকেও নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে দিল্লি প্রশাসন সূত্রে খবর। রাস্তায় এই দুই ধরনের গাড়ি নিয়ে নেমে যদি ধরা পড়েন চালকরা, তা হলে তাঁদের মোটা অঙ্কের জরিমানার কথাও বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে চালকদের। দিল্লি পরিবহণ দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় এই কথাগুলিই উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দূষণ ঠেকাতে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)-এর স্টেজ থ্রি চালু করেছে। চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে গ্র্যাপ-কে। স্টেজ ১ (খারাপ, একিউআই ২০১-৩০০), স্টেজ টু (খুব খারাপ, একিউআই ৩০১-৪০০), স্টেজ থ্রি (মারাত্মক, একিউআই ৪০১-৪৫০), স্টেজ ৪ (অত্যন্ত মারাত্মক, একিউআই ৪৫০-এর উপরে)। এই গ্র্যাপ চালু করা হয়েছে দিল্লিতেও। শুক্রবারই দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ছিল ৪৭১। গত এক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি। যা গ্র্যাপ-এর নিরিখে ‘অত্যন্ত মারাত্মক’। দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহু এলাকায় জল ছিটিয়ে বাতাসের গুণগত মান স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।