কর্নাটকে আস্থাভোটে জয়ী ইয়েদুরাপ্পা। ছবি: পিটিআই।
যা ভাবা হয়েছিল শেষপর্যন্ত তাই হল। সোমবার কর্নাটকে আস্থাভোট জিতে নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ১৭ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় বিধানসভার আসন সংখ্যা কমে হয়েছিল ২০৭। ম্যাজিক ফিগার দাঁড়িয়েছিল ১০৪। এইমুহূর্তে, ১০৫ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। আর এই সমীকরণে ভর করেই এ বার কর্নাটক দখল করে নিল গেরুয়া শিবির।
গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার টানাপড়েন চলছিল কর্নাটক বিধানসভায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, আস্থাভোটে নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৪ মাসের জোট সরকার। এরপর, সরকার গড়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করে বিজেপি। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এ দিন আস্থাভোটের পর ইস্তফা দেন স্পিকার কেআর রমেশ কুমার।
রবিবার, ১৪ ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছিলেন স্পিকার কেআর রমেশ কুমার। তার আগেও ৩ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করে দেন তিনি। মোট ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ায় কর্নাটকে ফিরে আসা অনেকটা সহজ হয়ে দাঁড়ায় ইয়েদুরাপ্পার কাছে। রবিবারই তিনি আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘‘সোমবারই আমরা সংগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’’ এ দিন তা প্রমাণও করেন তিনি। বিধান সৌধে ধ্বনি ভোটেই স্থির হয়ে যায় কন্নড়ভূমের রাজনৈতিক গতিপথ।
আরও পড়ুন: মোদীর চমক, স্বচ্ছ ভারত আর আয়ুষ্মান ভারতের পরে এ বার ‘বুদ্ধিমান ভারত’
আস্থাভোটে জিতে বিরোধীদেরও বার্তা দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ভুলে যাওয়া ও ক্ষমা করে দেওয়াই আমার নীতি।’’
আরও পড়ুন: উপত্যকা নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy