পি শ্রীনিবাস রেড্ডি (বাঁ দিকে) এবং রেবন্ত রেড্ডি। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
বিধানসভা ভোটের আগেই গত বছর তেলঙ্গানায় ধারাবাহিক ভাঙন শুরু হয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) দল ‘ভারত রাষ্ট্র সমিতি’ (বিআরএস)-তে। বিধানসভা ভোটে হার এবং সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরেও সেই প্রবণতা অব্যাহত। এ বার বিধায়ক তথা তেলঙ্গানা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার পোচারাম শ্রীনিবাস রেড্ডি যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
নিজামাবাদ জেলার বাঁশওয়াড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ২০০৯ থেকে টানা পাঁচ বার জেতা শ্রীনিবাস শুক্রবার সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, তেলঙ্গানার ১২ জন বিআরএস বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। সেই তালিকায় ছিল শ্রীনিবাসের নাম।
গত নভেম্বরে ১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভা ভোটে ৬৪টি আসনে জিতে ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস। বিআরএস ৩৯, বিজেপি ৮ এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) ৭টি বিধানসভা আসনে জেতে। এর পর গত সাত মাসে শ্রীনিবাসকে নিয়ে মোট চার জন বিআরএস বিধায়ক দল ছাড়লেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে এ বার তেলঙ্গানার ১৭টি আসনের মধ্যে ৮টি করে জিতেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। হায়দরাবাদে মিম প্রধান ওয়েইসি। কিন্তু কেসিআরের ঝুলি শূন্য। এই আবহে একের পর এক নেতার দলত্যাগে কার্যত অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে বিআরএস। এই আবহে দিল্লির আবগারি মামলায় কেসিআর-কন্যা কে কবিতার নাম জড়িয়ে যাওয়া এবং তাঁর গ্রেফতারি বিআরএসকে আরও কোণঠাসা করে দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy