নিজেদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দসই নাবালিকাকে বেছে নেন আরব শেখরা। ছবি: সংগৃহীত।
চাইলেই মিলবে ‘স্ত্রী’। শুধুমাত্র মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে। এমন চক্রের হদিশ মিলল হায়দরাবাদে। আরব দেশে বহু শেখের কাছেই এ ভাবেই ‘বিক্রি’ হয়ে যাচ্ছে দেশের বহু নাবালিকা। সম্প্রতি এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিন জন কাজিকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। সঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন আট জন আরব শেখও। সুদূর আরব দেশ থেকে তাঁরা ‘স্ত্রী’-এর খোঁজে এসেছে এ দেশে। সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে তাঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হচ্ছে নাবালিকাদের।
হায়দরাবাদ পুলিশের শীর্ষ কর্তা তাজুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, কেবলমাত্র ধনীরাই এই ‘বউ-বাজারে’র ক্রেতা নন। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত এক এজেন্ট ক্রেতাদের অটো-রিকশার মালিক, ইনোভা গাড়ির মালিক, অ্যাম্বাসাডরের মালিক— এমন ক্রেতা বলেও চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন
ধূমপানে বারণ করায় যুবককে পিষে মারল আইনজীবী
কুপ্রস্তাবে না, ধর্ষণের চেষ্টা করায় আত্মঘাতী কিশোরী
এই পরিবারের ১৪ জনই মোবাইল চোর!
তাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, “এক জন বিবাহিত শেখ তাঁর ছেলে ও বন্ধুর সঙ্গে এ দেশে এসেছেন বিয়ে করতে। শেখের সঙ্গে ছিল তাঁর আগের বিয়ের সার্টিফিকেটও। স্ত্রী নয়, আসলে এক জন পরিচারিকা চান তিনি। যাকে দিয়ে ‘অন্য’ কাজও করানো যাবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী খুঁজতে আসা আরব শেখদের সামনে নাবালিকাদের রীতিমতো হাঁটানো হয়। ওই নাবালিকার দরদামও ঠিক করা থাকে। নিজেদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এর পর পছন্দসই নাবালিকাকে বেছে নেন আরব শেখরা। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিবাহ-ইচ্ছুক এক জন আরব শেখের বয়স ছিল ৮০। অন্য জন তো বিয়ের নামে ১০ জন নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালিয়েছে।
গত মাসেই ৬১ বছরের এক শেখ ১৬ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করে ওমানে নিয়ে যান। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী এ বিষয়ে হায়দরাবাদ পুলিশকে তৎপর হতে বলেন। পুলিশি তদন্তে সামনে আসে এই ‘বউ-বাজারে’র কথা। পুলিশের দাবি, আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়াদের মতোই তা সক্রিয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy