রাজস্থানের রণথম্বোরে পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছিল সাত বছরের কার্তিক সুমন। আচমকাই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে টেনে নিয়ে যায় বাঘিনী। পরিবারের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে শিশুকে মুখে করে নিয়ে মিলিয়ে যায় ঝোঁপের মধ্যে। পরে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কার্তিক রাজস্থানের বুন্দি জেলার বাসিন্দা। ঠাকুমা এবং কাকার সঙ্গে বুধবার ওই মন্দিরে গিয়েছিল। মন্দিরে গিয়ে বেশ কিছু ছবিও তুলেছিল সে। নীল প্যান্ট, নীল টিশার্ট পরে এক হনুমানের পাশে বসে ছবি তুলেছিল সে। তখনও তার এই করুণ পরিণতি আঁচ করতে পারেনি পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে ঠাকুমার হাত ধরে ফিরছিল সে। তখনই ঝোঁপ থেকে বেরিয়ে শিশুটির ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যায় বাঘিনী।
বন দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ত্রিনেত্র গণেশের মন্দির এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে তিনটি বাঘিনীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। কোনটি কার্তিককে টেনে নিয়ে গিয়েছিল, তা জানা যায়নি। রণথম্বোরে প্রায় ৭০টি বাঘের বাস। ৩০০ বর্গকিলোমিটার নিয়ে গড়ে উঠেছে উদ্যান। একটি পরিণত বাঘিনী ১৫ থেকে ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ঘোরাফেরা করে। পরিণত বাঘের লাগে তার ১০ গুণ জায়গা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘেদের জায়গায় ঘাটতি হচ্ছে। শিকারেরও অভাব। সে কারণেই নিজেদের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় পাড়ি দিচ্ছে। মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।