ফাইল চিত্র।
বম্বে হাইকোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়লেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ। বুধবার প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি জি এস কুলকার্নির ডিভিশন বেঞ্চ পরমবীরকে প্রশ্ন করেছে, অনিল দেশমুখের ‘দুর্নীতির’ কথা জানামাত্র তিনি এফআইআর করেননি কেন এবং আদালতে ফৌজদারি জনস্বার্থ মামলাও যদি করতে হয়, তা হলে সেটা নিম্ন আদালতে করেননি কেন।
‘‘আপনি কি আইনের ঊর্ধ্বে?’’ পরমবীরকে এই ভাষাতেই ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে পরমবীর অভিযোগ করেছেন, অম্বানী-মামলায় ধৃত পুলিশ অফিসার শচীন ওয়াজ়েকে বিভিন্ন পানশালা এবং রেস্তরাঁ থেকে ১০০ কোটি টাকা আদায় করতে বলেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশমুখ। দেশমুখ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাজ্য সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, পরমবীর সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেন হাইকোর্টে।
হাইকোর্টের বক্তব্য, ‘‘পরমবীরের প্রথমে এফআইআর করা উচিত ছিল। পুলিশ এফআইআর নিতে না চাইলে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যাওয়ার কথা ছিল।’’ উত্তরে পরমবীরের আইনজীবী বলেন, তাঁরা ওই ‘চক্রব্যূহ’ এড়াতে চেয়েছেন। তখনই আদালত মন্তব্য করে, ‘‘আপনি কি আইনের ঊর্ধ্বে?’’
বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আপনি এক জন পোড় খাওয়া পুলিশ অফিসার। অনভিজ্ঞ নন। কোনও অন্যায় দেখলে এফআইআর করাই তো আপনার কর্তব্য। আপনার মন্ত্রী অন্যায় করছেন দেখেও আপনি চুপ ছিলেন!’’ পরমবীরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এত বড় এক জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা সহজ নয়। তখন আদালত পাল্টা প্রশ্ন করে— পরমবীর কি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন? না হলে তো সেটা ‘শোনা কথা’ বলে ধরতে হবে। দেশমুখ কোন অফিসারকে টাকা তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন? তাঁর হলফনামা জমা দেওয়া হয়নি তো! প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমাদের বক্তব্য হল, কোনও এফআইআর ছাড়া আদালত সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে না।’’
এ দিকে মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার তদন্তে এনআইএ গত কাল বিশেষ আদালতে জানিয়েছিল, ব্যবহৃত স্করপিয়ো গাড়িটির মালিক মনসুখ হিরেনকে হত্যার যে পরিকল্পনা হয়েছিল, সেই বৈঠকে শচীন ওয়াজ়ে নিজে উপস্থিত ছিলেন। এক চক্রীকে তিনি নিজে ফোন করেন বলেও দাবি। আর এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসার বিনায়ক শিন্দেও সেখানে ছিলেন। আর আজ এনআইএ সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরক রাখার দিন অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি স্করপিয়ো গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শচীন ওয়াজ়ের চালক। শচীন নিজে একটি ইনোভা গাড়ি নিয়ে পিছনে আসছিলেন। পরে তিনি নেমে স্করপিয়োতে একটি হুমকি-চিঠি রেখে আসেন। দু’টি গাড়িই পরে নম্বরপ্লেট বদলিয়ে শহরে ঢোকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy