—প্রতীকী চিত্র।
স্বামীর ‘আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা’র কারণে দম্পতিকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিল আদালত। ওই দম্পতি আইনি বিচ্ছেদের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পারিবারিক আদালতে তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দম্পতি। সেখানে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
বম্বে হাই কোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বামীর ‘আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা’র কারণে ওই দম্পতি যে হতাশায় ভুগছে, তা অগ্রাহ্য করা যায় না। ওই সমস্যা দম্পতিকে শারীরিক, মানসিক ভাবে ভোগাচ্ছে। তাই এই বিবাহ বয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা নেই।
কিন্তু ‘আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা’ কী? যখন কেউ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও নিজের বৈবাহিক সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন না, তখন সেই সমস্যাকে বলে ‘আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা’। এ ক্ষেত্রে ২৭ বছরের ওই যুবক তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেননি। সেই কারণে দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্কের শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে।
বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং বিচারপতি এসজি চপলগাওঁকরের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘আপেক্ষিক শারীরিক অক্ষমতা’ সাধারণ শারীরিক অক্ষমতার চেয়ে অনেক আলাদা। এই ধরনের সমস্যার নেপথ্যে একাধিক শারীরিক এবং মানসিক কারণ থাকতে পারে। এই মামলার ক্ষেত্রে স্ত্রীর প্রতি যুবকের যে অক্ষমতা রয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। সেই কারণেই তাঁদের বিবাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা অগ্রাহ্য করা যায় না।
আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর প্রতি নিজের অক্ষমতা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করতে ইতস্তত করেছিলেন যুবক। সেই কারণে বিবাহে অসম্পূর্ণতার জন্য দায়ী করেছিলেন স্ত্রীকেও। তবে পরে আদালতের কাছে নিজের খামতি স্বীকার করে নিয়েছেন ওই যুবক।
২০২৩ সালের মার্চে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির। ১৭ দিন পরেই তাঁরা আলাদা হয়ে যান। মহিলা দাবি করেন, তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করেছেন। পারিবারিক আদালতে এই কারণ দেখিয়েই বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন মহিলা। বম্বে হাই কোর্ট অবশেষে তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy