পুলিশের গাড়িতে পিন্টু। ছবি: পি টি আই।
শাহরুখ খানের বাংলোয় কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন শাহরুখেরই গাড়ির চালক। নির্যাতিতা মেয়েটি সঙ্গীতা বিজলানির বাড়ির প্রাক্তন পরিচারিকা।
বুধবার বান্দ্রা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে রাজেন্দ্রকুমার গৌতম ওরফে পিন্টু মিশ্র নামের ওই চালককে। বছর চৌত্রিশের পিন্টু পূর্ব আন্ধেরির আসালফার বাসিন্দা। একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে পিন্টু ১৭ বছরের ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মুখ না খোলার জন্য মেয়েটিকে হুমকিও দেয়। ঘটনাটি ২০ জুনের। সাহস করে নির্যাতিতা মেয়েটি বুধবার বান্দ্রা থানায় পিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। আজ বান্দ্রা আদালত পিন্টুকে ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পিন্টু সাত বছর ধরে শাহরুখের গাড়ি চালাচ্ছেন। অভিনেতার ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়া এবং স্কুল থেকে বাড়ি আনার কাজ করতেন তিনি। যদিও শাহরুখ-ঘনিষ্ঠদের দাবি, “এই বিষয়ে শাহরুখ বা তাঁর পরিবারকে জড়ানো ঠিক নয়। পিন্টু শাহরুখের কনভয়ের একটি গাড়ি চালাতেন। মাঝেমধ্যে অভিনেতার বাচ্চাদেরও গাড়ি চালিয়েছেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাড়ি লাতুরে। সেখানে তার মা থাকেন। পাঁচ মাস আগে সে মুম্বইয়ে আসে কাজের খোঁজে। পরিচারিকা হিসেবে কাজ পায় সঙ্গীতা বিজলানির বাড়িতে। কিন্তু এক দ্বাররক্ষীকে সে অন্য একটি চাকরি খুঁজে দেওয়ার জন্য বলেছিল। দ্বাররক্ষী মেয়েটিকে জানিয়েছিলেন, তিনি শাহরুখের গাড়ির চালককে চেনেন। সেই চালক তাকে সাহায্য করতে পারেন। এর পর সেই দ্বাররক্ষী পিন্টুকে মেয়েটির মোবাইল নম্বর দেন।
যদিও অন্য একটি সূত্রের খবর, কোনও এক জায়গায় সঙ্গীতার ওই পরিচারিকাকে দেখেছিলেন পিন্টু। তখন থেকেই মেয়েটির মোবাইল নম্বর পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত। অবশেষে দু’জনেরই এক ‘কমন’ বন্ধুর মাধ্যমে পিন্টু মেয়েটির মোবাইল নম্বর পান। এবং মোবাইলের মাধ্যমেই দু’জনের আলাপের সূত্রপাত।
পুলিশি সূত্রে খবর, ১৮ জুন মেয়েটিকে ফোন করে পিন্টু বলেন, তিনি শাহরুখের বাড়িতে তার কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন। বেতনও পাবে অনেক বেশি। এর পরেই দু’জনের মধ্যে মেলামেশা শুরু হয়। আস্থা অর্জনের জন্য পিন্টু মেয়েটিকে এক বার শাহরুখের বাংলোতেও নিয়ে যান। বারবার তিনি মেয়েটিকে বলতে থাকেন সঙ্গীতার বাড়ির কাজটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। সেই মতো ২০ জুন কাজটি ছেড়ে সে দেখা করে পিন্টুর সঙ্গে। সে দিনই পিন্টু মেয়েটিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নিয়ে যান নাল্লাসোপারার একটি হোটেলে। বাড়িতে না নিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে পিন্টু জানান, তাঁর বাড়ির লোক মেয়েটিকে ঢুকতে দেবেন না। সেই হোটেলেই পিন্টু মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
বান্দ্রা থানার এক পুলিশকর্তা বলেন, “মেয়েটি এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। মুম্বইয়ে তার কেউ নেই। তাই সে ঠিক করেছে লাতুরে মায়ের কাছে ফিরে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy