বৌভাতের তোড়জোড় চলছিল বাড়িতে। বেলা গড়িয়ে গেলেও বাড়ির ছেলে এবং নতুন বৌমা ঘর ছেড়ে না বেরোনোয় আত্মীয়েরা ভেবেছিলেন তাঁরা ঘুমোচ্ছেন। ফলে যে যাঁর কাজে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু দুপুর হয়ে গেলেও স্বামী-স্ত্রী দু’জনের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে কেমন যেন খটকা লাগে আত্মীয়দের। তার পরই শুরু হয় ডাকাডাকি।
কিন্তু হাঁকডাক করে, দরজা ধাক্কা দিয়েও যখন কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। শেষে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। দরজা ভাঙতেই ঘরের ভিতরের দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন সকলে। তার পর কান্নার রোল আর চিৎকারে ভরে ওঠে গোটা বাড়ি। দরজা ভাঙতেই আত্মীয়েরা দেখেন, বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন নতুন বৌ। সিলিং ফ্যানে ঝুলছে বরের দেহ। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার ঘটনা।
শুক্রবার বিয়ে হয়েছিল অযোধ্যার সহাদতগঞ্জের এক যুবকের। শুক্রবার রাতেই স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। তার পর বাড়ির লোকজন এবং আত্মীয়েরা রীতি-রেওয়াজ সেরে ঘুমোতে চলে যান। নবদম্পতিও তাঁদের ঘরে শুতে যান। শনিবার সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও দু’জনের যখন কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
বৌভাতের আগের দিনই নবদম্পতির মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। কেন তাঁরা আত্মঘাতী হলেন, এখন সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তদন্তকারীরা। বর এবং কনে দু’পক্ষের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে এই মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ।