সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী নয়ডার তরুণ। — প্রতীকী চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় উদ্ধার হল বছর সাতাশের এক তরুণের ঝুলন্ত দেহ। মৃত তরুণের নাম মায়াঙ্ক চান্দেল। নয়ডার সেক্টর ৭৩-এ একটি বাড়িতে বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। শুক্রবার রাতে সেই বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে একত্রবাসের সঙ্গীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ‘খোঁটা’ দেওয়ার কথা উঠে এসেছে। ইঞ্জিনিয়রিং নিয়ে পড়াশোনা করা ওই তরুণ গত কয়েক বছর ধরেই বেকার ছিলেন। তাঁর বান্ধবী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সুইসাইড নোটে লেখা হয়েছে, তরুণের বেকারত্ব নিয়ে প্রায়শই ‘খোঁটা’ দিতেন তাঁর বান্ধবী। তা নিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণ। যদিও সুইসাই়ড নোটে মৃত্যুর জন্য কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেননি মায়াঙ্ক।
মৃত তরুণের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। বান্ধবীর বাড়ির উত্তরপ্রদেশেরই বান্দা জেলায়। দু’জনের প্রায় সাত বছরের বন্ধুত্ব। পড়াশোনাও একই সঙ্গে। গত চার বছর ধরে একত্রবাস শুরু করেন তাঁরা। শুক্রবার রাতে যখন ওই তরুণ আত্মঘাতী হন, তখন তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। পরে অফিস থেকে ফিরে তরুণী দেখেন, ঘরের ভিতর ফ্যানের থেকে ঝুলছে মায়াঙ্কের দেহ। তিনিই থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ মায়াঙ্কের দেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও। পুলিশ ওই তরুণের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খবর দেওয়া হয় মায়াঙ্কের পরিবারকেও। কী কারণে তরুণ আত্মঘাতী হলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরি না-পাওয়া নিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণ। সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, একত্রবাসের সঙ্গী প্রায়শই তাঁকে এ নিয়ে ‘খোঁটা’ দিতেন। একটি চাকরি জোগাড় করার জন্য বলতেন বান্ধবী। ‘সারা দিন বাড়ি বসে খাওয়া’ নিয়েও বান্ধবীর মেজাজ ‘হজম’ করতে হত তাঁকে। এই মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না-পেরেই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুইসাইড নোটে এ কথাই মায়াঙ্ক লিখেছেন বলে দাবি পুলিশের।
বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যু ঘিরে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর দেহের সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট। স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উঠেছে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগও। এরই মধ্যে নয়ডায় এই তরুণের দেহ উদ্ধার ঘিরে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy