(বাঁ দিকে) হীরালালের স্ত্রী। হীরালাল (ডান দিকে ) । ছবি: সংগৃহীত।
তিন দিন ধরে হন্যে হয়ে খোঁজার পর অবশেষে সন্তানের দেহ খুঁজে পেলেন দম্পতি। শিশুটিকে খোঁজার জন্য খোদ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরই গত তিন দিন ধরে স্নিফার ডগ, সুপার সাকার, এক্সক্যাভেটর এবং উদ্ধারকারী দল শিশুটির খোঁজ চালাচ্ছিল। অবশেষে ঘটনাস্থল থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে রাজগড়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার হল রবিবার।
শিশুটির দেহ শনাক্ত করেছেন তার বাবা-মা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জ্যোতিনগর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাবা হীরালালের স্কুটারের পিছনে বসে বাড়ি ফিরছিল অবিনাশ। জ্যোতিনগরের কাছে স্কুটি থেকে ছিটকে একটি বড় ড্রেনে পড়ে যায় সে। চেষ্টা করেও সন্তানকে টেনে তুলতে পারেননি হীরালাল। দিশাহারা হয়ে সারা রাত ধরে সন্তানের খোঁজ করেছেন। কিন্তু পাননি। তার পর থেকেই সন্তানের খোঁজে এ দিক- ও দিক ঘুরে বেড়িয়েছেন হীরালাল।
এক হাতে পুত্র অবিনাশের চপ্পল, অন্য হাতে একটি রড নিয়ে এ ড্রেন- ও ড্রেনে খোঁজ চালিয়ে গিয়েছেন তিন দিন ধরে। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল উদ্ধারকারী দলও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ গত তিন দিন ধরে শিশুটির খোঁজ চালানো হয়। অবশেষে উদ্ধার হল অবিনাশের দেহ। কাঁদতে কাঁদতে হীরালাল বলছিলেন, “ছেলে পড়ে যেতেই আমিও লাফ মেরে ওকে ধরার চেষ্টা করি। ওর হাতটা দেখতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু ধরতে পারিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy