প্রতীকী ছবি।
কোভিড বাড়ছে দেশে। সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখার পরে নির্বাচন কমিশন দেশের অন্য চার রাজ্যের সঙ্গে মণিপুরের ভোটের দিনও ঘোষণা করল আজ। জানাল, মণিপুরে ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মার্চ। গণনা ১০ মার্চ। দিন ঘোষণার আগে থেকেই রাজ্যে ভোট প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোট কেন্দ্রীক হিংসায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। গত বার স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে জোট করে সরকারে এলেও এ বারে বিজেপি একার ক্ষমতায় সরকার গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। তাদের প্রচারপর্ব শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা দিয়ে।
বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েও কংগ্রেস ২০১৭ সালে চতুর্থ বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বিজেপি, এনপিপি এবং এনপিএফ হাত মেলানোয় এবং তৃণমূলের টিকিটে জেতা এক বিধায়ক ও কংগ্রেসের এক বিধায়ক সেই জোটকে সমর্থন জানানোয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। কংগ্রেস গত ৫ বছরে দু’বার শাসক জোটে ভাঙন ধরিয়ে ফের ক্ষমতায় আসার চেষ্টা চালিয়েও সফল হয়নি। প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছেন নেডা জোটের প্রধান হিমন্তবিশ্ব শর্মা। হিমন্ত এ বার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, বিজেপি একাই মণিপুরে সরকার গড়বে।
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ নিজে ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর পাঁচ বছরের শাসনকালে বীরেনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার বিদ্রোহ হয়েছে। শরিক এনপিপি তো এক বার সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও ঘোষণা করেছিল। সরকার বাঁচিয়েছিলেন হিমন্তই। দলে বীরেনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একাধিক বার আসরে নেমে সমস্যা মেটাতে হয়। মাদক চক্রের এক নেতাকে জামিন দেওয়া নিয়ে এএসপি বৃন্দা থৌনাওজামের সঙ্গে বীরেনের কাজিয়া চরমে ওঠে। বৃন্দা পুলিশের চাকরি ছেড়ে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য এ বারেও বীরেনকে সামনে রেখে লড়তে নামছে বিজেপি।
অন্য দিকে কংগ্রেস নিজেদের বিধায়ক ও নেতাদের ধরে রাখতেই নাজেহাল। গত কয়েক বছরে দলের প্রদেশ সভাপতি গোবিন্দাস কোনথৌজাম ও বেশ কয়েক জন বিধায়ক দল বদল করেছেন। চলছে মামলা।
প্রদেশ বিজেপি সভাপতি এ সারদা দেবী আজ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বলেন, “কোভিড বিধি মেনেই প্রচার চালানো হবে। মানুষও এখন অনেক সচেতন। তাঁরাও ভিড় করবেন না।” প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কে দেবব্রত বলেন, “অতিমারি পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়েই প্রচার চলবে। গত বছর বেশ কিছু রাজ্যে ভোটের পরে করোনা বেড়ে গিয়েছিল।” এনপিপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল হাসান ভোটের প্রচারে ছোট-ছোট জনসভার পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy