অরবিন্দ মেনন।—ছবি সংগৃহীত।
কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের পাশাপাশি সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবতের প্রিয়পাত্র অরবিন্দ মেননকে লোকসভা ভোটের বছর খানেক আগে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন রাজ্যের অনেক জায়গায় বিজেপির বুথ কমিটি ছিল না। সুতরাং এক বছরের মধ্যে বিজেপির ঝোলায় ১৮ জন সাংসদ নিয়ে আসার কৃতিত্ব অনেকটাই কেরলের গুরুভায়ুরের ভূমিপুত্র মেননের।
২০২১-এ বাংলায় বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা এ বার অরবিন্দ মেননকে আরও ক্ষমতা দিতে চাইছেন। সেই সঙ্গে ২০২৪-এর লোকসভা দিকের তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জাতীয় কর্মসমিতিতে আরও তরুণ মুখও তুলে আনতে চাইছেন।
জানুয়ারি মাসের শেষে নড্ডা বিজেপির সভাপতির পদে এলেও এখনও তাঁর নিজস্ব ‘টিম’ তৈরি হয়নি। ঠিক ছিল, মার্চের শেষে নবরাত্রির সময় বিজেপির নতুন জাতীয় পদাধিকারী ও নতুন জাতীয় কর্মসমিতির তালিকা ঘোষণা হবে। কিন্তু করোনার জন্য তা আর হয়নি। এ বার সমস্ত রাজ্য নেতৃত্ব ও আরএসএস-এর সঙ্গে বৈঠকের পর নতুন জাতীয় পদাধিকারী ও জাতীয় কর্মসমিতির তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই শুভ দিনক্ষণ দেখে তা ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: সত্যিই ৩৫৬? নাকি শুধু চাপ বাড়ানো? সুর কিন্তু বদলে গিয়েছে বিজেপির
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের পাশাপাশি মেনন এখন সহ-দায়িত্বপ্রাপ্তর ভূমিকায় রয়েছেন। মেননকে সাহায্য করতে তাঁর সঙ্গে আরও কাউকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলায় পাঠানো হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ, রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় পদাধিকার বলে জাতীয় কর্মসমিতিতে রয়েছেন। এ ছাড়া সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া, মুকুল রায়, গৌরী চৌধুরী জাতীয় কর্মসমিতিতে রয়েছেন। বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, অরুণ হালদার, কমল বেরিওয়াল। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও জাতীয় কর্মসমিতিতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিজেকে সামলান, ধনখড়ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারির আঙুল তুললেন মমতা
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, ছত্তীসগঢ়ে রমন সিংহ, রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজে, কর্নাটকে বি এস ইয়েদুরাপ্পা, মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহানের পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব তুলে আনা জরুরি। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গেও দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো তরুণ মুখ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আসতে পারেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের মত।
সংগঠনের রদবদলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলও বাকি রয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার অপেক্ষায়। পীযূষ গয়াল, প্রকাশ জাভড়েকরের মতো মন্ত্রীদের হাতে একাধিক মন্ত্রক রয়েছে। বিজেপির সংসদীয় বোর্ডেও চারটি পদ খালি— বেঙ্কাইয়া নায়ডু উপরাষ্ট্রপতির পদে, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, অনন্ত কুমার প্রয়াত। সেই শূন্যস্থানে অভিজ্ঞ নেতাদের তুলে আনার দিকেই নজর থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy