গত অর্থবর্ষে বিজেপির নগদে চাঁদা সংগ্রহের পরিমাণ ৬১৪.৫২ কোটি টাকা। ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী বন্ডের মতোই নগদ চাঁদা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) শীর্ষে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল। গত বছরে বিজেপি নগদে চাঁদা পেয়েছে ৬১৪.৫২ কোটি টাকা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নগদে চাঁদা প্রাপ্তির পরিমাণ মাত্র ৪৩ লক্ষ টাকা। রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএম কিন্তু ওই সময়ে নগদে প্রায় ১০ কোটি টাকা চাঁদা সংগ্রহ করেছে। যা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, তৃণমূলের ঘরে অধিকাংশ অর্থই এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে।
নির্বাচনী বন্ড ছাড়াও নগদে চাঁদা দিয়ে পছন্দসই রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করতে পারেন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা। কোন দল গত অর্থবর্ষে কত টাকা চাঁদা পেয়েছে, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, নগদে চাঁদা পাওয়ার হিসাবে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রের শাসক দল গত অর্থবর্ষে চাঁদা সংগ্রহ করেছে ৬১৪.৫২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসের নগদে সংগ্রহ ৯৫.৪৫ কোটি টাকা। দু’রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা একমাত্র আঞ্চলিক দল আম আদমি পার্টির চাঁদা সংগ্রহের পরিমাণ ৪৪.৫৪ কোটি টাকা। সিপিএমের সংগ্রহ ১০.০৫ কোটি। সেখানে তৃণমূল নগদে চাঁদা পেয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হওয়া গোয়ার নির্বাচনের প্রচারে ৪৭ কোটি টাকা খরচ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। যা থেকেই স্পষ্ট, তৃণমূলের অধিকাংশ অর্থ এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। ২০১৯-২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, সে বছর নির্বাচনী বন্ড থেকে তৃণমূলের সংগ্রহ ছিল ১০০.৪৬ কোটি টাকা।
ওই অর্থবর্ষেই বন্ড থেকে বিজেপির ঘরে ঢুকেছিল ২৫৫৫ কোটি টাকা, যা মোট বন্ড বিক্রির প্রায় ৭৫ শতাংশ। নির্বাচনী সংস্কারের পক্ষে সরব থাকা অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক ফ্রিডম (এডিআর)-এর মতে, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত থেকে গত চার বছরে বিক্রি হওয়া বন্ডের ৯৪ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি। ওই রাজ্যে গত চার বছরে ১৭৪ কোটি টাকার বন্ড বিক্রি হয়েছে, যা গোটা দেশের সার্বিক কর্পোরেট অনুদানের প্রায় চার শতাংশ। ওই ১৭৪ কোটির মধ্যে বিজেপির একারই সংগ্রহ ১৬৩ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy