ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে চালু করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড)। তবে বাদ রাখা হবে জনজাতিদের। তাঁরা এর আওতায় পড়বেন না। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এমনটাই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
নভেম্বরেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে সে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন শাহ। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গঠনেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে রাঁচীতে পৌঁছন শাহ। রবিবার সেখানে একটি সভায় শাহ বলেন, ‘‘সরকারে এলে ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করবে বিজেপি। কিন্তু আমি আশ্বাস দিচ্ছি, জনজাতিদের এর আওতার বাইরে রাখা হবে। জেএমএম সরকার মিথ্যা প্রচার করছে যে, ইউসিসি এলে জনজাতিদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ এ ছাড়া, শাহের আরও প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এসেই ঝাড়খণ্ডে ৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিজেপি। অনুপ্রবেশ সমস্যার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। শাহের দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের প্রশ্রয়েই ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও কটাক্ষ করেন তিনি।
আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাজোট’। এ বারও তিন দল এক সঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। গত বার আলাদা লড়লেও বিজেপি এ বার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-এর সঙ্গে জোট গড়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy