পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের নিয়ে ‘স্নেহ মিলন’ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। ফাইল চিত্র।
বিভাজন এবং মেরুকরণের রাজনীতি করার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এ বার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব ঐক্য এবং সমন্বয়ের বার্তা দিতে সক্রিয় হলেন। ২০১৩ সালের গোষ্ঠীহিংসার কেন্দ্র পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর এবং আশপাশের জেলাগুলিতে এপ্রিল থেকে মুসলিমদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করছে পদ্ম-শিবির। তার প্রচারপত্রও প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যেই। শিরোনামে লেখা, ‘স্নেহ মিলন: এক দেশ, এক ডিএনএ সম্মেলন’।
ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুসলিম সমাজের কাছে পৌঁছনোর জন্য দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দলের একটি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এই উদ্যোগ। বস্তুত, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মুসলিম সমাজের সমর্থন কুড়োনোর লক্ষ্যে আগামী ১০ মার্চ থেকে মাঠে নামতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মুসলিম মোর্চার নেতৃত্বে ওই অভিযান শুরু হওয়ার কথা জম্মু-কাশ্মীর থেকে।
দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে ১৪টি রাজ্যের ৬৪টি লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিমদের কাছে টানার লক্ষ্যে অভিযানে নামছে বিজেপি। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১৩টি লোকসভা কেন্দ্র। রয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি আসনও। ওই কেন্দ্রগুলিতে ২০১৯ সালে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের বিধানসভা ভোটে স্পষ্ট, বিজেপির দখলে থাকা জাঠ জনগোষ্ঠীর ভোটের বড় অংশ পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-র জোট।
প্রয়াত জাঠ নেতা চরণ সিংহের নাতি এবং অজিত সিংহের ছেলে জয়ন্ত বর্তমানে আরএলডি প্রধান। সম্প্রতি তাঁর একাধিক কর্মসূচিতে জাঠেদের বিপুল সমাবেশ দেখা গিয়েছে। তা ছাড়া, বিতর্কিত তিনটি কৃষিবিল প্রত্যাহারের পরেও কৃষিজীবী জাঠ জনগোষ্ঠীর বড় অংশ এখনও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বলে দলের অন্দরের খবর। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে মূলত পিছিয়ে পড়া পসমন্দা মুসলিম, ধনী বোহরা সম্প্রদায় ও শিক্ষিত মুসলিম সমাজকে কাছে টানার জন্য সক্রিয় হচ্ছে বিজেপি। পাশাপাশি, মোদীর নির্দেশ মেনে বিশেষ ‘নজর’ দেওয়া হচ্ছে সুফি সম্প্রদায়ের দিকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy