ছবি: সংগৃহীত।
আরও একটি ব্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার পরে তার সঙ্গে গাঁধী পরিবারের যোগ স্থাপনের চেষ্টায় নামল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, ইয়েস ব্যাঙ্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রাণা কপূরকে ২ কোটি টাকায় একটি ছবি বিক্রি করেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে বিজেপির।
বিজেপির তথ্য-প্রযুক্তি মোর্চার প্রধান অমিত মালব্য আজ সকালে অভিযোগ করেন, ‘‘ভারতের সব আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে গাঁধী পরিবারের যোগ দেখা যায়। বিজয় মাল্য সনিয়া গাঁধীকে বিমানের টিকিট পাঠাতেন। মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরমের কাছেও অনায়াস যাতায়াত ছিল। নীরব মোদীর অলঙ্কারের দোকান উদ্বোধন করেন রাহুল গাঁধী। এ বার খবর এল, ইয়েস ব্যাঙ্কের রাণা কপূরকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ছবি বিক্রি করেছিলেন।’’
অভিযোগের পরেই বিষয়টি নিয়ে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন কংগ্রেস নেতারা। সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙঘভি বলেন, ‘‘না জেনে-বুঝে বিজেপি এই অভিযোগ করছে। রাজীব গাঁধীকে তাঁর আঁকা একটি ছবি দিয়েছিলেন মকবুল ফিদা হুসেন। ২০১০ সালে সেটিই ২ কোটি টাকা দিয়ে বেচা হয়েছে রাণা কপূরকে। টাকা চেকে নেওয়া হয়। আয়কর দিয়ে রিটার্নের সময় ছবি বিক্রি করার বিষয়টিও প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছিলেন। বিজেপি নজর ঘোরাতে এ সব অভিযোগ করছে।’’
আরও পড়ুন: রক্ষাকর্তা মহেন্দ্রকে ভুলবে না গোকুলপুরী
কংগ্রেসের মতে, উত্তরাধিকার সূত্রে হুসেনের আঁকা ছবিটি রাজীব গাঁধীর থেকে পেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সব নিয়ম মেনে সেটি নিলাম করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ আগে হুসেনের ছবি ১৩ কোটি টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজের ছবি বিক্রি করেন, খোদ নরেন্দ্র মোদীও নিজের সুট বিক্রি করেছেন। তার বেলা? জবাবে বিজেপির অমিত মালব্যের বক্তব্য: ‘‘প্রধানমন্ত্রী অর্থ দান করার জন্য নিলাম করেছিলেন। প্রিয়ঙ্কা কি ছবি বিক্রির টাকা নিজের ‘গরিব কৃষক’ স্বামীকে দান করেছেন?’’
কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, ৫ বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ঋণ কী করে দিল ব্যাঙ্ক? নোটবন্দির পর ফায়দা পেল কী করে? নোটবন্দিকে মোদীর ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলেছিলেন কপূর। ডুবতে থাকা ব্যাঙ্কে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সরকার (বিজেপি থাকার সময়) কী করে টাকা রাখল? ইয়েস ব্যাঙ্কে গুজরাত ক্যাডারের আইএএস ও প্রাক্তন অর্থসচিব অশোক চাওলা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এখন আর এক গুজরাত ক্যাডারের অফিসার বোর্ড সদস্য। দু’দিন আগেই মোদীর সম্মেলন স্পনসর করে ইয়েস ব্যাঙ্ক। আগেও করেছিল। সব যোগ মোদীর সঙ্গেই। দশ বছর পুরনো প্রিয়ঙ্কার ছবি বিক্রি কী করে এখন প্রাসঙ্গিক?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy