প্রতীকী চিত্র।
করোনা সঙ্কট থেকে কৃষি আন্দোলন, অর্থনীতির সঙ্কটে কাজ হারানোয় হিন্দু ভোটের একটি অংশ বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। সে কথা মাথায় রেখে আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের সমর্থন পেতে ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। প্রয়োজনে পাঁচ রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।
সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটকে কী ভাবে আয়ত্ত করা সম্ভব, তা ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। সূত্রের মতে, পাঁচ রাজ্যের মোট বিধানসভা আসনগুলির মধ্যে মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্র দেড়শোর কাছাকাছি। সাধারণত ওই আসনগুলি বিরোধীদের দখলে। এ বার সেগুলি কী ভাবে জেতা সম্ভব তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই এলাকাগুলিতে দলের যে সকল সংখ্যালঘু নেতা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে অন্তত একশো জন করে স্থানীয় মুসলিমকে যোগদান করাতে বলা হয়েছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যে যে আসনগুলি ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সেগুলিকে চিহ্নিত করে প্রচারে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে দল।’’ ঠিক হয়েছে বিজেপিতে রয়েছেন এমন মুসলিম বিশিষ্টজনেদের মাঠে নামানো হবে। আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনার মতো সরকারের বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পের সুফল কী ভাবে সংখ্যালঘু সমাজ পাচ্ছে, তা ওই এলাকাগুলিতে প্রচার করবে বিজেপি।
নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন জিতে আসার পরে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগানের সঙ্গে ‘সবকা বিশ্বাস’ শব্দবন্ধটি যোগ করেন। কিন্তু বর্তমানে লোকসভায় বিজেপির একজনও মুসলিম সাংসদ না থাকায় ‘সবকা বিশ্বাস’-এর তত্ত্ব কতটা খাটে, তা নিয়ে গোড়া থেকেই সরব ছিলেন বিরোধীরা। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এ বার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনে সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধি দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় দলে।
পদ্মশিবিরের মতে, বিজেপি মুসলিম ভোট পায় না বলে যে ধারণা রয়েছে তা ঠিক নয়। বরং আগের চেয়ে বিজেপি প্রার্থীরা সংখ্যালঘু সমাজের ভোট কুড়িয়ে নিতে শুরু করেছেন। কারণ তা না হলে দেশের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত আসন ২৯টি। তাতে কোনও ভাবেই গত লোকসভায় বিজেপির পাঁচ হিন্দু প্রার্থী জিততে পারতেন না। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘বর্তমান সময়ে মুসলিম ভোটাদাতারা আগের মতোই জোট বেঁধে ভোট না দিয়ে নিজেদের পছন্দ, প্রার্থীর ভাল-মন্দ বিচার করে ভোট দেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এ বার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ভাগ্য পরীক্ষায় নামতে চায় বিজেপি।’’ দলের এক নেতা বলেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। হিন্দু ভোটাদাতারা অনেকাংশে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন। সেখানে দলকে জিততে হলে নতুন ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতেই হবে। সেই লক্ষ্যেও মুসলিম ভোটকে কাছে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy