ফাইল চিত্র।
মাত্র চার মাস আগে বিজেপি ঘোষণা করেছিল, তাদের সদস্য সংখ্যা ১৮ কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০ কোটির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে দল।
চার দিন আগে বিজেপি সভাপতি টোল-ফ্রি নম্বর ঘোষণা করেছেন। যাতে সকলে সেখানে ‘মিসড কল’ দিয়ে নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন করতে পারেন। শেষ পাওয়া হিসেব বলছে, এক কোটির গণ্ডি পেরোয়নি ‘মিসড কল’। বিরোধীদের প্রশ্ন: নতুন নাগরিকত্ব আইন কি তা হলে বিজেপির সদস্যরা সমর্থন করছেন না?
অথচ অমিত শাহ এখন যে জনসভাতেই যাচ্ছেন, ঘর-ঘর অভিযানে যেখানেই পা রাখছেন, সকলকে মোবাইল ফোন বের করে ‘মিসড কল’ করতে বলছেন। আর জানাচ্ছেন, এই ‘মিসড কল’ সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে মোদীর কাছে। এখনও যে নেতারা ঘরে-ঘরে যাচ্ছেন, তাঁরাও একই ভাবে ‘মিসড কল’ করাচ্ছেন।
তা সত্ত্বেও সমর্থনের সংখ্যাটি কেন বাড়ছে না? দু’দিন আগে অমিত নিজে অবশ্য বলেছেন, মাত্র দু’দিনে ৫০ লক্ষের বেশি ‘মিসড কল’ এসেছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতারা দাবি করছেন, সংখ্যাটি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তা হলে চার দিনে এক কোটি ফোন করানো গেল না কেন? বিজেপির এক সূত্র দাবি করছে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আসলে নাকি জনসাধারণের কোনও হেলদোল নেই। সে কারণে ফোন করার তাগিদও নেই। বিজেপি এ বারে মাত্র ৩ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে।
কিন্তু তা হলেও দু’টি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এক, বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল বলে পরিচিত। ফোন করার নির্দেশ দলের সভাপতির থেকে আসা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি কেন? এই অভিযানের মাধ্যমে তো ‘নিরপেক্ষ’ জনতার মন জয়েরও লক্ষ্য ছিল। যদি তাঁদের একটি অংশও ফোন করে থাকেন, তা হলে তো মিসড কল-এর মধ্যে বিজেপির সমর্থকের সংখ্যা আরও কম বলে ধরতে হবে। বিজেপি তার যত সদস্য সংখ্যা দাবি করে, সেটি সত্যি তো? সংশয় বিরোধী শিবিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy