জে পি নড্ডা। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা জানিয়ে দিলেন, এ বিষয়ে সংবিধান ও আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে, বিজেপি সেটিই মেনে নেবে। অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে রামমন্দির তৈরির দাবিতে বিজেপি ১৯৮৯-তে পালামপুরে প্রস্তাব নিয়েছিল। আজ নড্ডা মনে করিয়ে দিয়েছেন, তার পরে বিজেপি আর কোথাও কোনও মন্দিরের দাবিতে প্রস্তাব নেয়নি। আজ নড্ডা বলেছেন, “আমরা সাংস্কৃতিক বিকাশের কথা বলেছি। কিন্তু এই বিতর্ক সংবিধান মেনে, আদালতে ফয়সালা হবে। আদালত ও সংবিধান যে সিদ্ধান্ত নেবে, বিজেপি তা রূপায়ণ করবে।”
জ্ঞানবাপী মসজিদ, মথুরার শাহি ইদগায় পুজো ও মন্দির তৈরির দাবির পরে এই প্রথম বিজেপির সভাপতি দলের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট মুখ খুললেন। জ্ঞানবাপী, মথুরার ইদগায় পুজোর দাবিতে নতুন করে আদালতে মামলা শুরুর পরে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় থেকে নজর ঘোরাতে বিজেপিই মন্দির-মসজিদ বিবাদ খুঁচিয়ে তুলছে। বিজেপির শীর্ষনেতারা আজ যুক্তি দিচ্ছেন, কেউ আদালতে গেলে তো তাঁদের আটকানো যায় না! তবে শীর্ষ নেতা যাই বলুন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যে বিজেপির স্থানীয় নেতারাই উপাসনাস্থল সুরক্ষা আইন পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন।
শুধু তা-ই নয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইঙ্গিত দিয়েছেন, রামমন্দিরের নির্মাণ শেষ হলেই নজর দিতে হবে কাশী-মথুরায়। রবিবার লখনউয়ে বিজেপির উত্তরপ্রদেশের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে যোগী দলীয় কর্মীদের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ৬২টি এবং জোটসঙ্গী আপনা দল ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এ বার রাজ্যের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭৫টি দখলের জন্য ঝাঁপানোর ডাক দিয়েছেন যোগী। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডরের উদাহরণ তুলে ধরে জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হলেই কাশীর জন্য নেমে পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে যোগী মথুরা-বৃন্দাবন, বিন্ধ্যবাসিনী ধাম, নৈমিশ ধাম নিয়ে সকলকে আসরে নামার ডাক দিয়েছেন।
কাশী বিশ্বনাথ করিডর উদ্বোধনের উল্লেখ করে যোগী জানান, প্রতিদিন সেখানে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হচ্ছে। যোগী বলেন, “রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হয়েছে। রাজ্যে প্রথম বার ইদের আগের শুক্রবারে রাস্তায় নমাজ পড়া হয়নি।” এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মসজিদ চত্বরেই নমাজের আয়োজন করতে হবে। ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যোগী জানান, অনাবশ্যক শব্দদূষণ বন্ধের জন্যই এই পদক্ষেপ।
পরপর পদক্ষেপে মুসলিমদের কোণঠাসা করার অভিযোগ নিয়ে নড্ডার যুক্তি, বিজেপি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-এর নীতি মেনে চলে। তাঁর দাবি, বিজেপি সবাইকে নিয়ে চলতে চেষ্টা করে। সমাজের এক এক রকমের মানুষ এক এক রকম ভাবে সাড়া দেন। বিজেপি সকলের প্রতি ন্যায়ে বিশ্বাস করে। কাউকে তোষণে বিশ্বাস করে না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy