ফাইল চিত্র।
রাস্তার এ-পার আর ও-পার। মাঝে জনপথ। রাজধানীতে মুখোমুখি দুই প্রধান প্রতিপক্ষ দলের সভাপতির ঠিকানা। কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সদ্য গত কাল বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়া জগৎপ্রকাশ নড্ডা। ভোট মরসুমে দু’পক্ষের নেতা-কর্মীদের সামলাতে চাপে পুলিশ। সনিয়ার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আটোসাটো তো ছিলই। আজ নড্ডার বাড়ির সামনেও বিশেষ ব্যারিকেড করা হয়েছে।
দশ জনপথ সনিয়ার বহু দিনের ঠিকানা। লাটিয়েন দিল্লির বুকে এই বাংলোয় প্রবেশের দু’টি পথ। একটি আকবর রোড দিয়ে। কংগ্রেসের সদর দফতরের ঠিক পাশ দিয়ে। আর একটি জনপথ দিয়ে। সনিয়ার সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে যান, তাঁরা সাধারণত প্রবেশ করেন আকবর রোড দিয়ে। সেখানেই নিরাপত্তার পাকাপোক্ত বন্দোবস্ত করা আছে। জনপথের দিকে দরজাটি সাধারণের জন্য বন্ধই থাকে। সেখান দিয়ে গাঁধী পরিবারের সদস্যরাই মূলত আসা-যাওয়া করেন। রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরারা সেখান দিয়েই প্রবেশ করেন। এই দরজা দিয়ে পোষ্য ‘পিডি’কে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে অনেক বার যেতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে।
দশ জনপথের এই বিশেষ প্রবেশ দ্বারের ঠিক উল্টো দিকের বাংলোটিই বরাদ্দ করা হয়েছে নড্ডাকে। গত কাল বিজেপির সভাপতি হওয়ার পরে নয়। অনেক আগে থেকেই। তাঁর বাড়ির ঠিকানা অবশ্য ৭-বি, মোতিলাল নেহরু মার্গ। সাধারণের জন্য সেটাই মূল প্রবেশদ্বার। কিন্তু নড্ডা নিজে ও বিশেষ অতিথিরা আসা-যাওয়া করেন জনপথের দিকে দ্বিতীয় দরজা দিয়ে। দিল্লিতে ভোটের মরসুম। দুই শিবিরেই ব্যস্ততা চরমে। মুখোমুখি দু’টি বাড়িতে ভিভিআইপিদের যাওয়া-আসা তো আছেই, দলের কর্মীরাও ভিড় করেন নিজ দলের নেতানেত্রীর বাড়ির সামনে। কেউ প্রার্থী হওয়ার দাবি নিয়ে হইচই করেন, কেউ প্রার্থী না-করার অভিযোগ নিয়ে। নাজেহাল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy