ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে তাইল্যান্ডের ৪১ বছর বয়সি এক যৌনকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে ওই মহিলা কী ভাবে এলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিরোধীদের অভিযোগ, ৭ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই মহিলাকে নিয়ে এসেছিলেন বিজেপি-র এক সাংসদের ছেলে। বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন ওই বিজেপি সাংসদ নিজেই।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে ওই মহিলা লখনউয়ের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে খবর। তিনি কবে উত্তরপ্রদেশে এসেছিলেন তার নির্দিষ্ট দিন জানা না গেলেও বিরোধীদের একাংশের দাবি ২৮ এপ্রিল তাইল্যান্ড থেকে আসেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির নেতা আইপি সিংহ অভিযোগ করেছেন, ‘‘বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় শেঠের ছেলে নিয়ে এসেছিলেন ওই যৌনকর্মীকে। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে একাধিক নেতা ও প্রশাসনের অনেক আধিকারিকের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর মৃত্যুর পরে সেই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।’’ মহিলার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আনা ও এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন ওই সপা নেতা।
অন্য দিকে এই ঘটনায় যাঁর ছেলের বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে সেই বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় আবার সব অভিযোগ উড়িয়েছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমার ও আমার পরিবারের বদনামের জন্য এই মিথ্যা খবর রটানো হচ্ছে। এর সঙ্গে আমার পরিবারের কেউ যুক্ত নয়। এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমি। পুলিশ আমাকে জানিয়েছে, তদন্ত করে শীঘ্রই আসল সত্যি সামনে আনা হবে।’’
ওই মহিলা ভারতে আসার আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন, না ভারতে এসে আক্রান্ত হয়েছেন সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ভারতে ওই মহিলার স্থানীয় পরিচিত হিসাবে সলমন খান নামের এক জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সলমন জানিয়েছেন, তিনি ওই মহিলাকে চিনতেন না। মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে তাইল্যান্ডের দূতাবাস থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। তাই তিনি হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর করেছিলেন। এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেই দাবি করেছেন সলমন।
এই তরজার মধ্যেই অবশ্য মহিলার মৃতদেহ দাহ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই শেষকৃত্য ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে তাইল্যান্ড মহিলার পরিবারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy