ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত টুইটারের উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা ভারতীয় গণতন্ত্রের পক্ষেও অশনিসঙ্কেত বয়ে আনতে পারে। এমনটা আশঙ্কা করছেন বিজেপি-র তরুণ সাংসদ তেজস্বী সূর্য, অমিত মালবীয়র মতো বিজেপি নেতারা। তেজস্বীর মতে, টুইটারের মতো বড় বড় সংস্থা ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ হওয়ায় তা এ দেশের গণতন্ত্রের পক্ষেও রীতিমতো ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘটনা যে সেই ‘সতর্কবার্তার’ শামিল, তা-ও মনে করেন তেজস্বী। তাঁর মতে, এ ধরনের ঘটনা যাতে ভারতীয় রাজনীতিকদের সঙ্গে না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
তেজস্বীর মতো একই আশঙ্কা করেছেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। তাঁর টুইট, ‘এক জন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে (টুইটার থেকে) সরিয়ে দেওয়াটা বিপজ্জনক নজির। বড় বড় টেক ফার্মগুলোর হাতেই এখন যাবতীয় ক্ষমতা রয়েছে’।
ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার ঘটনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্টের উস্কানিমূলক মন্তব্যের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। ক্যাপিটলের হিংসায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে টুইটার ব্যবহারে শনিবার ট্রাম্পের উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওই মাইক্রো ব্লগিং সাইট। তাদের মতে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের হিংসায় ইন্ধন জোগাতে পারেন ট্রাম্প। সুদূর আমেরিকার এই ঘটনা যে এ দেশের রাজনীতিকদের পক্ষেও উদ্বেগের কারণ হতে পারে, তেমনটাই মনে করেন তেজস্বী। শনিবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘এটা আমাদের পক্ষে একটা সতর্কবার্তার শামিল। এখনও অনেকেই এটা বুঝতে পারছেন না যে, এই বড় বড় অনিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি সংস্থাগুলি আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষেও ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যদি এমনটা করা যায়, তবে যে কারও সঙ্গে এটা করা যেতে পারে। যত দ্রুত এই মধ্যস্থতাকারী আইনের পর্যালোচনা করা হবে, ততই আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গল’। নিজের টুইটে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককেও ‘ট্যাগ’ করেছেন তেজস্বী।
আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না অওরঙ্গজেব, নাম বদলের সাফাই উদ্ধবের
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি দু’টি ভ্যাকসিন মানবজাতিকে রক্ষা করতে পারে, দাবি মোদীর
Deplatforming Donald Trump, a sitting US president, sets a dangerous precedent.
— Amit Malviya (@amitmalviya) January 9, 2021
It has less to do with his views and more to do with intolerance for a differing point. Ironically, those who claim to champion free speech are celebrating.
Big tech firms are now the new oligarchs.
অনেকেই মনে করছেন, তেজস্বীর মূল আশঙ্কা, তাঁর দল বিজেপি-র জন্যও সতর্কবার্তা বয়ে আনতে পারে ট্রাম্পকে টুইটার থেকে নির্বাসিত করার দৃষ্টান্ত। বেঙ্গালুরু দক্ষিণের সাংসদ তেজস্বী নিজেই বিভাজন সৃষ্টিকারী এবং উস্কানিমূলক ভাষণের জন্য ‘খ্যাতি’ রয়েছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদ পুরসভার নির্বাচনের প্রচারসভাতেই তেজস্বীর মন্তব্য ছিল, ‘‘জিন্নার নয়া অবতার হলেন (আসাদউদ্দিন) ওয়াইসি। তাঁকে হারাতেই হবে।’’ পুলিশ সতর্ক করে সে সময় বলেছিল, তেজস্বীর ওই মন্তব্য হায়দরাবাদে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে ইন্ধনমূলক। এই অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy