—ফাইল চিত্র
রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’ বন্ধ করতে শস্যদানা মুখে না তোলার পণ করে বসেছেন কেউ। আবার প্রশাসনিক কর্তাদের স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে কোনও ধর্মীয় সংগঠন। কিন্তু, সকলকে যেন ছাপিয়ে গেলেন গাজিয়াবাদের বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুজ্জর। ‘বিগ বস’ যাতে দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয় সে জন্য কার্যত কামান দেগেছেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে চিঠি লিখে ওই জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ওই বিজেপি বিধায়ক।
কেন বন্ধ করা হবে ‘বিগ বস’-এর মতো অনুষ্ঠান? কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে তার কারণও তুলে ধরেছেন নন্দকিশোর। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘ওই অনুষ্ঠান অশ্লীলতা ও কদর্যতাকেই তুলে ধরছে এবং তা পরিবারের সঙ্গে বসে দেখা যায় না।’ নন্দকিশোরের দাবি, ‘দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিপন্থী বিগ বস। চরম আপত্তিকর অন্তরঙ্গ দৃশ্য ওই অনুষ্ঠানের অংশ। বিভিন্ন জাতির পুরুষ ও নারী পরস্পরের শয্যাসঙ্গী হচ্ছেন, তা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না।’
এখানেই থামেননি নন্দকিশোর। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তুলনাও টেনেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘এক দিকে ভারতের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, অন্য দিকে দেশের সংস্কৃতিকে নিচু করে দেখাচ্ছে এমন সব অনুষ্ঠান।’
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রেও অশনি সঙ্কেত! লাফিয়ে বাড়ছে অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ
আরও পড়ুন: হালিশহরে দুষ্কৃতীরাজ! ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে খুন করল আততায়ীরা
সম্প্রতি ‘বিগ বস’-এর একটি সাদা-কালো ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। দাবি করা হয়, ছবির পুরুষটি এক জন কাশ্মীরি মুসলমান ও মহিলাটি এক জন ব্রাহ্মণ। ‘লাভ জিহাদ’কে উস্কানি দিচ্ছে ‘বিগ বস’, এমনও দাবি করা হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, ওই ছবিটি সাম্প্রতিক তো নয়ই, বরং তা চার বছর আগের পুরনো। ২০১৫ সালে ‘বিগ বস’, সিজন ৯-এর সময়কার ওই ছবি। প্রকাশ্যে এসেছে ওই পুরুষ ও মহিলার পরিচয়ও। ছবিতে সুয়ষ রাই ও কিশওয়ার মার্চেন্টকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখা গিয়েছে।
ধাপে ধাপে তেরোটি সিজন পার হয়েছে ‘বিগ বস’। সেই রিয়েলিটি শো বন্ধের দাবিতে আগেও সরব হয়েছিল একাধিক গেরুয়াপন্থী সংগঠন। গাজিয়াবাদ প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছিল ব্রাহ্মণ মহাসভা। অনুষ্ঠানটি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শস্য দানা মুখে না খাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন নবনির্মাণ সেনার উত্তরপ্রদেশের সভাপতি অমিত জানি। দাবি না মানা পর্যন্ত তিনি ফল ও সবজি খেয়েই থাকবেন বলে জানিয়েছেন অমিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy