গণপত গাইকোয়াড় (বাঁ দিকে) এবং একনাথ শিণ্ডে (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে তাঁকে অপরাধী বানিয়ে ছাড়লেন। থানার ভিতরে এক শিবসেনা নেতাকে গুলি করার ঘটনায় ধৃত বিজেপি বিধায়ক ক্ষোভ উগরে দিলেন। শুধু তাই নয়, বিধায়কের দাবি, শিণ্ডে ক্ষমতায় থাকলে তাঁর মতোই আরও অনেক অপরাধী জন্ম নেবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থানার ভিতর শিবসেনা নেতাকে লক্ষ্য করে ছ’রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ (পূর্ব)-এর বিজেপি বিধায়ক গণপত গাইকোয়াড়ের বিরুদ্ধে।
বিধায়কের কথায়, “একনাথ শিণ্ডে আমাকে অপরাধী বানিয়েছেন। জোর করে আমার জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমার ছেলেকে থানায় হেনস্থা করা হয়। শিণ্ডে যদি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পদে থাকেন, তা হলে আমরা একই রকম ভাবে আরও অনেক অপরাধীর জন্ম হবে। উনি আমার মতো এক জন ভাল মানুষকে অপরাধী বানিয়ে দিয়েছেন।’’ পদ্ম বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘আমার কোনও অনুশোচনা নেই। কেউ যদি আমার ছেলেকে থানায় মারধর করে, তা হলে আমার কী করা উচিত ছিল? আমি ওদের মেরে ফেলতে চাইনি।’’
ঘটনার সূত্রপাত একটি জমির মালিকানা নিয়ে। তা নিয়েই আইনি লড়াই চলছিল শিবসেনা নেতা মহেশ গাইকোয়াড় এবং বিজেপি বিধায়কের মধ্যে। গণপতের দাবি, মামলায় তিনিই জিতেছেন। কিন্তু তার পরেও ঝামেলা জিইয়ে রেখেছিলেন মহেশ ও তাঁর পরিবার। শুক্রবার সেই জমির কারণেই উল্লাসনগরের হিল লাইন থানায় গিয়েছিলেন উভয় পক্ষ। থানার ভিতরেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন মহেশ এবং গণপত।
দুই রাজনৈতিক দলের নেতার মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন ইনস্পেক্টর অনিল জগতপ। কিন্তু তার মধ্যেই আচমকা বন্দুক বার করেন বিজেপি বিধায়ক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিণ্ডে নেতার উপর গুলি চালান বলে অভিযোগ। গুলি চালানো হয় মহেশের এক সঙ্গীর উপরেও। পুলিশের দাবি, থানার ভিতরে ১০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তার মধ্যে পাঁচটি গুলি লাগে শিণ্ডেসেনার নেতার শরীরের বিভিন্ন অংশে। ওই নেতা এবং তাঁর সঙ্গীকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ঠাণের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশের শরীরে ছ’টি গুলি লেগেছে। সেই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক ছাড়াও হর্ষল কেন এবং সন্দীপ সারওয়াঙ্কর নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে পুলিশের চারটি দল গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঠাণের আদালত তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy