আগেই লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় এসে শাহ ফের শুনিয়ে গিয়েছেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ আসনে জয় পেতেই হবে বাংলা থেকে। এর পরে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বিজেপির সব মোর্চা ও শাখার সদস্যদের নিয়ে বর্ধিত কার্যকারিণী বৈঠক হয় বুধবার। আর সেখানেই রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডের ঘোষণা, আগামী বুধবার থেকে সকলের সব রকমের ছুটি বাতিল। ছুটি পাওয়া যাবে সেই ভোটগণনার পরে।
লোকসভা নির্বাচন কবে হবে তা এখনও অজানা। সব ঠিক থাকলে কমিশন তা ঘোষণা করতে করতে এখনও কমপক্ষে একশো দিন বাকি। তার আগেই বিজেপি নেতাদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্তরের তো বটেই জেলার নেতাদের উদ্দেশেও একই কথা বলেন মঙ্গল। বুধবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এ হওয়া বিজেপির বৈঠকে মঙ্গল বলেন, ‘‘এখন যাঁদের যা ছুটি নেওয়ার রয়েছে নিয়ে নিন। আগামী ১ জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত ছুটি পাওয়া যাবে। পরের দিন ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে একেবারে ভোটগণনা পর্যন্ত কেউ কোনও রকম ছুটি নিতে পারবেন না।’’
গত লোকসভা নির্বাচনে দেশে ৩০৩ আসনে জিতেছিল বিজেপি। ১০ বছর সরকার চালানোর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার ‘হ্যাট্রিক’ করতে চান। বেশি শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বিজেপি। যদিও শাসক-বিরোধী হাওয়া তৈরি হলে আসন কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিরোধীরা জোট বাঁধলে লড়াই কঠিন হতে পারে। অথচ বিজেপি যে সব রাজ্যে শক্তিশালী এবং ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে আসন বাড়ানোর সুযোগ কম। কারণ, অনেক জায়গাতেই বিজেপির হাতে অধিকাংশ লোকসভা আসন। দক্ষিণ ভারতে ভাল ফলের সম্ভাবনা কম। সে ক্ষেত্রে এখনকার শক্তি ধরে রাখতে বা বৃদ্ধি করতে হলে যে সব রাজ্যের উপরে ভরসা তার মধ্যেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
রাজ্য বিজেপির নেতারাই বলছেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার উপরে বাড়তি জোর দিতে চাইছেন। সে কারণেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হতেই লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলা থেকেই শুরু হয়েছে শাহ-নড্ডার সফর। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই প্রথম দুই নেতা একসঙ্গে রাজ্যে এলেন। এর থেকেই স্পষ্ট, তৃতীয় মোদী সরকার গঠনে বাংলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই কারণেই সব নেতাকে ছুটি বাতিল করে এখন থেকেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ মঙ্গলের। ভোট হতে আর ১০০ থেকে ১২০ দিনের মতো বাকি বলেও তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে, দলের শৃঙ্খলা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তৃতায়। দলের বিরোধিতা করার জন্য মঙ্গলবারই সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তার পরের দিনই সুকান্ত শৃঙ্খলার উপরে জোর দিয়েছেন। তিনি বৈঠকে বলেন, ‘‘আমাদের দলের প্রথম এবং শেষ কথা হল শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা। সেটা না মানলে গতকাল রাতে কী হয়েছে সেটা দেখেছেন। সুতরাং, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে।’’ এর পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পর পর কর্মসূচি নিতে চলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনকে কী ভাবে রাজ্য রাজনীতিতে কাজে লাগানো যায় তারও পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy