আক্রান্ত: মারধরের ভিডিয়োয় তবরেজ আনসারি। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে
রামনাম করিয়ে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় নিজেদের দূরে সরিয়ে নিতে নামল বিজেপি। দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ঝাড়খণ্ডের শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রশেখর প্রসাদ সিংহ আজ দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি জড়িত নয়। খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, রাজ্য সরকার সাসপেন্ড করেছে দু’জন পুলিশকর্মীকেও। ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ড সরকার। এরই মধ্যে নিহত তবরেজ আনসারির স্ত্রীকে সরকারি চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছে তাঁর পরিবার।
গত ১৮ জুন ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোঁয়া জেলার ধক্তিদি গ্রামে মোটরবাইক চোর সন্দেহে তবরেজকে ১৮ ঘণ্টা ধরে পেটায় এক দল দুষ্কৃতী। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বেধড়ক মারতে মারতে ল্যাম্পপোস্টে বাঁধা ওই যুবককে তারা ‘জয় শ্রী রাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে বলছে। তবে চন্দ্রশেখরের দাবি, গণপিটুনির এই ধরনের ঘটনাগুলির সঙ্গে বিজেপি, আরএসএস, ভিএইচপি, বজরং দলকে জুড়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাঁর মতে, এ সব ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘এটা ‘কাট অ্যান্ড পেস্ট’-এর সময়। কে, কোথায়, কোন কথা বসিয়ে দেবে— বলা মুশকিল।’’ পাল্টা যুক্তি দিয়ে এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির টুইট, ‘‘গণপিটুনির ক্ষেত্রে প্রায় সব ক্ষেত্রেই চেনা ছক হল, প্রথমে এক জন মুসলিমকে খুন করছে গো-প্রেমীরা। পরেই বলা হচ্ছে— মনে হচ্ছিল, ওই লোকটি কাছে গোমাংস রাখা ছিল। কিংবা লোকটি চুরি করেছিল অথবা স্মাগলিংয়ে যুক্ত। ‘লভ জিহাদ’-এর অদ্ভুত যুক্তিও দেওয়া হয়ে থাকে।’’
তবরেজের পরিবারের অভিযোগ, অনেক আবেদনের পরেও ওই যুবকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি পুলিশ। এমনকি, পরিবারের সদস্যদের ওই যুবকের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন তবরেজ।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy