Advertisement
E-Paper

বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ বিল, রাজ্যসভায় বৃহস্পতিতে, বিজেপির হুইপ, অসন্তোষ নীতীশের দলে

জেডিইউর একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিলে ওয়াকফ সম্পত্তিতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের যে ব্যবস্থা রয়েছে নীতীশের তাতে আপত্তি রয়েছে। কারণ, জমি সংক্রান্ত বিষয়টি রাজ্যের অধিকারের অন্তর্গত।

BJP issues whip to all MPs to be present in Parliament for Waqf Bill introduction

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৮
Share
Save

আগামী বুধবার (২ এপ্রিল) লোকসভায় পেশ হতে চলেছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৫। রাজ্যসভায় পেশ হবে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল)। ওই দু’দিন সংশ্লিষ্ট দুই কক্ষের দলের সব সাংসদকে হাজির থাকার জন্য মঙ্গলবার বিজেপি সংসদীয় দলের তরফে হুইপ জারি করা হয়েছে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, যে কোনও ভাবে নতুন বিল পাশ করতে সক্রিয় হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম দল টিডিপি এবং জেডি (ইউ) বিলের বিষয়ে কী অবস্থান নেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। টিডিপি প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষার ডাক দিয়েছেন গত সপ্তাহেই। অন্য দিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ নেতা তথা সে রাজ্যের বিধান পরিষদের সদস্য গুলাম ঘাউস মঙ্গলবার সরাসরি নতুন ওয়াকফ বিলকে ‘মুসলিম বিরোধী’ বলে চিহ্নিত করে তা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য তথা প্রাক্তন জেডিইউ সভাপতি লল্লন সিংহ মঙ্গলবার বলছেন, ‘‘ওয়াকফ বিল নিয়ে আমাদের দলের অবস্থান কী হবে, বিলের খসড়া পর্যালোচনার পরে সে বিষয়ে নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ তবে অনেকে মনে করছেন, রাজ্য রাজনীতি তথা সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখার স্বার্থে শরিকেরা নিজেদের রাজনীতি করলেও শেষ পর্যন্ত বিলের বিরোধিতার ঝুঁকি নেবে না। উত্তেজনার এই আবহেই ওয়াকফ বিল নিয়ে লোকসভার অন্দরে কৌশল স্থির করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈঠক করতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা।

নীতীশের দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিলের খসড়ায় তিনটি পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম দুই সদস্যের অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা সমর্থন করতে চাইছেন না নীতীশ। তা ছাড়া, নতুন বিলে ওয়াকফ সম্পত্তিতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাতেও নীতীশের আপত্তি রয়েছে। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী জমি সংক্রান্ত বিষয়টি রাজ্যের অধিকারের অন্তর্গত। নতুন আইন কার্যকর হলে সেই অধিকার খর্ব হবে বলে জেডিইউ নেতৃত্বের একাংশ আশঙ্কা করছেন।

প্রসঙ্গত, বিরোধী সদস্যদের আপত্তি উপেক্ষা করেই গত ৩০ ডিসেম্বর ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের নতুন খসড়া অনুমোদন করেছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। এর পরে সেই খসড়ায় প্রস্তাবিত ১৪টি সংশোধনী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদিত হয়। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে অভিযোগ করেন, জেপিসির বিরোধী সদস্যেরা ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্ট থেকে সেগুলি মুছে ফেলা হয়েছে।

যদিও সংসদীয় ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সেই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‘এমন কিছুই হয়নি।’’ কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, ৪৪টি সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের উপর সরকারি কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। কিন্তু বিল পাশ করাতে গিয়ে মোদী সরকারকে সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

WAQF Amendment Bill Waqf Board BJP parliament Waqf Bill JPC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}